বাংলা সাহিত্যের প্রতিষ্ঠানবিরোধী লিটিলম্যাগাজিন ব্লগ

সাম্প্রতিক পোষ্ট

শাস্ত্রকানাঃ ধর্মশালার বৈপরীত্যে পুড়তে থাকে আধ্যাত্মবাদের সলতে -শাফি সমুদ্র


‘চড়ক পুজোর রাতে
সব চাড়াল, মুচি, মেথরেরা উৎসব করছে,
শুকরের মাংসের ঝোলে মাখানো মুড়ি আর মদ,
জম্পেশ হুল্লোড় এর সাথে মেয়েদের নাচ,
সাথে গাইছে মায়াবী সুরে নিজেদের বানানো গান;
নটী বাড়ি যাবো না
নটীর ভাত খাবো না
নটীর পিরীতে মজবো কি মজবো না
সেই কথা দিতি মোরা পারবোনা!’ (শাস্ত্রকানা)
এক নিমজ্জিত বেদনার সলতে পোড়াতে পোড়াতে যিনি ক্রমাগত লিখে যান আধ্যাত্মবাদের সুতীক্ষ্ম কলাকৌশল-বোধের অনিবার্য উপস্থিতি-দার্শনিক আরাধনার ক্রমবিস্তার তিনি সৈয়দ তৌফিক উল্লাহ, কবি, গল্পকার এবং গদ্যশিল্পী। প্রথাবিরুদ্ধ এই কবির ‘শাস্ত্রকানা’ তৃতীয় কবিতা গ্রন্থ। অসম্ভব শক্তি ও মেধার বিচরণে আধ্যাতিœকতার প্রাচুর্যতায় তিনি নিজের ভেতর ও বাইরের দ্বান্দ্বিকতার চরম বহি:প্রকাশে খুঁজতে থাকেন জীবন-প্রণালি ও বেঁচে থাকার গুপ্ত ধাঁধাঁ। ধর্ম-জাতি-উপজাতি-আস্তিকতা-নাস্তিকতা এবং ধর্মশালার বৈপরীত্যে নির্মোহ জীবনলিপি পাঠ করতে পাঠককে বাধ্য করবেন ‘শাস্ত্রকনা’র প্রতিটি কবিতায়। নৈরাশ্য ও টানাপোড়েন-দুর্ভেদ্য দর্শন-অস্তিত্বের অন্তর্মুখিতায় কবি খোলসবদ্ধ হলেও আত্মতুষ্টির বিমূর্ততায় উঠে এসেছেন সমহিমায়। সমন্বিত অনুভবের বীজমন্ত্র শোনাতে থাকবেন পাঠকের চিন্তা আর মননের খুব গভীরে। অপ্রাতিষ্ঠানিক মনষ্কতায় কবি সৈয়দ তৌফিক উল্লাহ বাংলা ভাষার গুরুত্বপূর্ণ ছোটকাগজ ‘দ্রষ্টব্য’, ‘প্রতিশিল্প’, ‘করাতকল’, ‘শাব্দিক’, ‘কামারশালা’ এ নিয়মিত লেখার পাশাপাশি নির্মাণ করছেন আরেকটি প্রতিষ্ঠানবিরোধী ছোটকাগজ ‘যশোর রোড’। 
বেনিয়াবৃত্তি, পুঁজির দাসত্ব আর মিডিয়ার অগ্রাসনের বিরোধিতায় ছোটকাগজ আন্দোলনে সৈয়দ তৌফিক উল্লাহ দৃঢ়চিত্তে সক্রিয় রেখেছেন নিজেকে। তার কবিতা কখনো কখনো ভাষার স্টেটমেন্ট থেকে আত্মার দর্শন, ভাবের বহুগামীতায় পাঠকের মধ্যে বিস্তৃীর্ণ অঞ্চলজুড়ে ক্রমাগত ওড়াতে থাকেন তার দ্বিধাগ্রস্থহীন চিন্তার নানান রঙের ঘুড়ি কিংবা সোনালি ঈগল। জীবনের পরম সত্য ও সত্যের কারণ উপলব্ধির প্রকাশ শিল্পের অন্যতম প্রক্রিয়া। প্রাপ্তি অপ্রাপ্তির যে অনুষঙ্গ কবি সৈয়দ তৌফিক উল্লার ভাবনার গভীরে অনবরত সাঁতার দেয়, সেই আসক্তি উদযাপনের ভেতরেও তিনি নিজেকে পরিপুর্ণরূপে প্রকাশ করে থাকেন। পাপ ও পূণ্যের অনিবার্য খেলায় কবি আত্মা ও পরমাত্মার ভেতরে ডুবতে থাকেন, আর খুঁজতে থাকেন আদি পাপের অনুষঙ্গ- 
‘বেদনার সলতে পুড়ে বিস্ফোরিত হবে পাতকির মন
বিস্ফোরণের বরণ ডালাতে ফুলের পাপড়ি ছড়িয়ে
বাহুতে জড়িয়ে, শিরায় বাহিত রক্তস্রোত,
অনুতাপে ক্রোধের ঠোঁটে ঠোঁট রেখে, নতজানু হবে
বিষ্ময়ে দেখবে ভোর লাজুক হয়ে আদি পাপ’
                                                               (শাস্ত্রকানা)
শেষ হয়ে যাওয়া সব বৃক্ষের আবাদ শেষে এ্যাকুরিয়াম ভেঙে এক মুক্ত জলাশয়ে মাছের স্বাধীন জীবন কিংবা শকুনের কাছে পশুর মৃত্যুর কামনার বিপরীতে এক শান্তির পথরেখা খুঁজতে খুঁজতে কবি জীবনের কোন কোন অধ্যায়ের প্রতি সন্দিহান হয়ে যান। অজস্র স্বপ্নের বীজ বুনতে বুনতে কবি লিখে যান ‘সবকিছু কি শেষ তবে; নাকি একটা নতুন বিগব্যাং এর পূর্বাভাস/ নতুন করে গজাবে আশার বীজ, ডাইনোসরের মতো বিলুপ্ত হয়ে যাবে/ আমাদের জীর্ণতা-হীনতা-দৈন্যতা, হতাশার সবকিছু’ (যা’শালা)। দর্শন ও সৌন্দর্যতত্ত্বের মধ্য দিয়ে মানবমুক্তির স্পষ্ট ধারনা আধুনিক কবিতার যে মৌলিক রূপ ধরা পরে তা সৈয়দ তৌফিক উল্লার কবিতায় আমরা স্পষ্টতই দেখতে পাই। আবার অস্তিবাদী দর্শনের তীব্রতায় কবি কখনো কখনো নিমজ্জিত থেকে উল্লেখ্যযোগ্য ভাবের প্রকাশ ঘটিয়েছেন- ‘অদৃষ্টে বাহুডোরে নেই নির্দিষ্ট নিয়ম।/ সময়ের কোনো ধর্ম নেই,/ আদিকাল হতে আদমের হাত ধরে হাঁটা শুরু/ মানব হবার বাহুডোরে বন্দি থেকে।/ রুহ্ উপস্থিতি আবিষ্কার হয়/ রুহ্ যখন ভেদাভেদ শুরু লিঙ্গ নির্ধারণে।/ সেই শুরু কামনার, বাসনার, বিচ্ছেদের।’ (রুহ্ কোনো লিঙ্গ নেই) 
আধ্যাত্মবাদ থেকে উঠে এসে কবি সৈয়দ তৌফিক উল্লাহ কখনো কখনো ঘুরে দাঁড়ান, নিজেকে তুমুল ভেঙে ফেলেন এবং ভাঙতে ভাঙতে অজস্র সংকটের মুখোমুখি করে নিজেই গাইতে থাকেন বেদনা আর দুঃস্বপ্নের শিলালিপি। কবির আত্মা থেকে উৎসারিত ভাষার আধিপত্যে কবিতার গতিমুখ পরিবর্তন করে পাঠকের সামনে বারবার তুলে এনেছেন সুতীব্র যন্ত্রণার নোনাজল। তার কবিতার মূল উপজিব্য হিসাবে পাঠকের সামনে উপস্থিত হয় সাধারণ মানুষের আত্মিক সংকট কিংবা যন্ত্রণার সুরোতহাল, হতাশা-ক্লান্তি-শূন্যতা ও ব্যক্তিসত্তার নৈর্ব্যাক্তিক অনুসন্ধান। চিরাচরিত ধারনা থেকে বেরিয়ে কবি খুঁজতে থাকেন এক প্রবাহমান জীবনের গতি প্রকৃতি, ফলশ্রুতিতে তিনি শুধু সুন্দরের প্রতি মোহগ্রস্থ না থেকে অসুন্দরের প্রতিও দূরদৃষ্টি রেখেছেন তার নির্মানকৌশলে। ভাষা ও স্থাপত্যে শুধু নয়, শব্দ প্রয়োগ, বাঁকরীতি, অলঙ্করণ ও চিত্রকল্পে নিজস্বতার ছাপ রেখেছেন। পূর্ববর্তি ঘরাণা থেকে বেরিয়ে এক স্বতন্ত্রবোধের স্থান অর্জন করেছেন ‘শাস্ত্রকানা’ কবিতাগ্রন্থের প্রতিটি কবিতায়। ইতিহাসের পালাবদলে আবির্ভূত হওয়া সময়ে কবি নিজেকে আটকে না রেখে এক গতিশীল পরিক্রমায় হেঁটে চলেছেন। সামগ্রীক অভিঘাতে নিজেকে বিচ্ছিন্ন না করে আত্মচেতনার ভেতরে তিনি সমুজ্জ্বল রেখেছেন তার মনোগত বৈশিষ্ট্য।  
‘আলোর মিছিলে বেদনার পোস্টার
ঠোঁটে নিভু নিভু বিড়ির আগুন
আহত হাতের আঙুলের নখে শোষণের দাগ’
                                      (উম্মাদনার পঙক্তি)
কিংবা 
‘দৃষ্টির সীমানা ভেঙে পালিয়ে বেড়ায়
সূর্যমুখির ক্ষেত হলুদ কামনা নিয়ে
সমুদ্রতটে লবণের চাষাবাদে
চোখে ময়লা পড়েছে বলে জল ঝরে
ওটাকে অশ্রু বলে না...’
                                      (লাল চোখ)
সাধারণ মানুষের ভাষার ভেতরেই কবি তার অনুভূতিকে প্রবাহিত করে তুলে ধরেছেন সমকালীন বিষয়বস্তুর প্রতিচিত্র কিংবা সময়ের কূল-উপকূল ভেঙে গণমানুষের আত্মার ভেতর থেকে বেরিয়ে আসা কান্নার কোলাজ। দু’শো বছরের ইউরোপীয় ও ল্যাতিন আমেরিকার শিল্পকলার পাশাপশি সাহিত্যের ফভিজম, এক্সেপ্রেশনিজম, ফিউচারিজম, কিউবিজম, ডাডাইজম কিংবা সুররিয়ালিজম যখন পুরো বিশ^কে প্রভাবিত করে এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে, তখন এসব ধারা থেকে বেরিয়ে এসে ষাটের দশকের দিকে ক্ষুধা ও যন্ত্রণার প্রতি স্বাক্ষর রেখে হাংরিদের অবস্থা হয়ে ওঠে এক ভয়ঙ্কর আগ্রাসী ও স্বভাববিরুদ্ধ ভাষার গোড়াপত্তন। হাংরি পরবর্তি পুঁজির দাসত্ব, মিডিয়ার চৌর্যবৃত্তি, রাষ্ট্রিয় কিংবা রাষ্ট্র অধিনস্ত প্রতিষ্ঠানের অভ্যান্তরীন সংকট, সকল প্রকার মানবিকতার বিপক্ষে যে শক্তি ক্রিয়ারত তার বিরুদ্ধ অবস্থানে প্রতিষ্ঠানবিরোধিতার এক আন্দোলনের সূত্রপাত ঘটে। এই প্রতিষ্ঠানবিরোধী আন্দোলনের একজন সক্রিয় কবি হিসাবে সৈয়দ তৌফিক উল্লাহ তার কবিতার ভাষা দিয়ে, কবিতার বিষয়বস্তু ও দর্শনের ভিত্তিতে যে দৃপ্ত উচ্চারণ করেছেন তা পাঠে বারবার আপনাকে বাধ্য করবে। 
বহুমাত্রিক বোহেমিয়ানতার এক অদ্ভুত রূপ যেমন রয়েছে তার কবিতার গাথুনিতে, তেমনি বিচিত্রসব অনুষঙ্গ টেনে এনেছে পাঠকের চিন্তা ও মননে। প্রচলিত প্রথার বাইরে সাহিত্যের যে অবকাঠামো যোগ হয়েছে তার পুনর্বিন্যাসে তিনি সাহসীকতার সাথে তুলে ধরেছেন। আধুনিক কবিতার যে বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান তার কবিতায় রয়েছে সে দৃশ্যমান উপস্থিতি। ফলে তিনি একদিকে যেমন আধ্যাত্মবাদের অনুষঙ্গকে পাঠকের মস্তিস্কজুড়ে বিস্তার ঘটিয়েছেন অন্যদিকে সমাজের প্রতিকূলতাকে চিহ্নিত করে পাল্টা আঘাত করেছেন কখনো কখনো, কিংবা মুগ্ধ পরিব্রাজকের মতো ছোঁ মেরে উড়িয়ে দিয়েছেন আত্মসংকটের সমস্ত প্রবঞ্চনা। রহস্যময়তা বা অস্বাভাবিকত্বের মূল যাই হোক না কেনো হালের প্রদর্শনী প্রক্রিয়ায় এর স্থায়িত্ব সাময়িক, ‘ভয়ঙ্কর অস্বাভাবিকত্ব’ রূপে জীবন বোধের অন্তুদৃষ্টি কামনা করে কবি তার মুখবন্ধ রচনা করে পাঠকের মনস্ততত্ত পর্বেও বিমূর্তায়ন ঘটিয়েছেন। আমরা নিচের কবিতার অংশ বিশেষ পাঠ করলে হয়তো খুঁজে পাবো কবির আতেœাপোলব্ধির প্রবণতাসমূহ:
১. আততায়ীর পরিচয়ে ছদ্মবেশী প্রখর কাল হাত
        বিষের বিন্যাসে দোদ্দুল্যমান সাপের ফণা
২. পাশাপাি হাঁটার মধ্যে সমস্ত নিখুঁত
       সজ্জিত এবং ছায়াসঙ্গী প্রস্তুত রেখে
       পৃথক আত্মারা এর অদৃশ্য প্রস্থঅনের জন্য প্রস্তুত হতে থাকে।
৩. সময়ের শিরদাঁড়ায় বয়ে যাওয়া শীতল স্রোতের নারী
       সভ্য-অসভ্য মানুষেরাই হয়ে যায় সংসারী
৪. যীশুখ্রীষ্টের পুনরুত্থানের মতো বিশ^াসের পাঁজরে গ্রেনেড নিয়ে
      গোপনে খাবলে নিচ্ছে সুখ, উপড়ে দিচ্ছে সব স্বপ্নচোরা চোখ,
      দাঁতহীন বসন্তে পাঁজরে বারুদের হাড়-মাংস
৫. আমাদের আটকুঠূরী নয় দরজা খুলে দিয়ে
       মনের সিন্দুকে আটকে না থেকে এই সময়ে আকাশটার দিকে দেখ,
        জোছনায় কিলবিল করছে সবুজ আভায় ডুবে থাকা অন্ধকার
রবীন্দ্র পরবর্তি বাংলা কবিতার আধুনিকতা, অতি আধুনিকতা ও উত্তরাধুনিকতা থেকে বেরিয়ে এসে শূন্য দশকে বেড়ে ওঠা কবি সৈয়দ তৌফিক উল্লাহ সমাজ ভাবনার মৌলিক পরিবর্তনে চাষাবাদ করে চলেছেন সহস্র শব্দ ও নন্দনশৈলীর বিস্তুৃীর্ণ ক্ষেত খামার। পুঁজিতন্ত্রের হাটে যে সাহিত্যের বেচা বিক্রির ক্রিয়াকর্ম, তথাকথিক দৈনিক সাহিত্যপাতার মতো টয়লেট পেপার কিংবা বাজারের পসরা সাজিয়ে বসে থাকা মিডিম্যাগ বা সাহিত্য সংকলনে তিনি নিজেকে উজাড় করে দেননি। আত্মদ্রোহ, আত্মচেতনার এক দীর্ঘ জার্নিতে তিনি বয়ে বেড়াচ্ছেন দ্বগ্ধ সময়ের দিনলিপি। এক উচ্চমার্গীয় শৈল্পিক ধারায় স্বতঃস্ফূর্ততায় কবি ক্রমাগত তার প্রকাশ ঘটিয়েছেন তার কবিতার প্রতিটি লাইনে, ফলে এক বিশ্লেষাণত্মক মনোভঙ্গি নিয়ে পাঠককে ন্যুয়ে পড়তে হয় তার কবিতার অন্তর্জালে। কবি সৈয়দ তৌফিক উল্লাহ তার তৃতীয় কাব্যগ্রন্থ ‘শাস্ত্রকানা’য় নির্মাণ করেছেন এসব শিল্পের ক্ষতবিক্ষত অবয়ব-
‘আদম মাত্রই জুয়াড়ি, পথভ্রষ্ট প্রেমিক, যে কোনো আক্ষেপ ছাড়াই
পশু রাজের মতো নিজের শাবক খেয়ে ফেলে নিজে’
                                            (স্বার্থপরতার ম্যাজিক)
অথবা,
ম্যানগ্রোভ বন দেখিয়ে দিলো মনে
গাছেরও অস্ত্র আছে, জীবন ও প্রেম আছে।
                                            (পূর্ব নির্ধারিত)
অথবা
আমার বিষণ্ণ আঙুল যা একদিন ছুঁয়েছিলো তাকে
আঙ্গুলগুলো নেচে ওঠে চন্দ্রাহত জোছনার রাতে
                                            (যোজন বিয়োজন)
প্রতিষ্ঠানবিরোধী ছোটকাগজ প্রকাশনাঘর ‘করাতকল’ থেকে ফেব্রুয়ারি ২০১৮ তে প্রকাশিত ‘শাস্ত্রকানা’ কবিতাগ্রন্থটি। পূর্ববর্তি প্রকাশনা ‘আত্মদ্রোহ, ২০০৪’ এবং ‘আগুন মালার পাঠ-২০১১’ ছোটকাগজ প্রতিশিল্প থেকে প্রকাশিত। চিত্রশিল্পী চারু পিন্টুর সুনিপুন প্রচ্ছদে ‘শাস্ত্রকানা’ কবিতাগ্রন্থে একটি মুখবন্ধসহ ৪৭টি কবিতা গ্রন্থিত করেছেন। গ্রন্থটির বিনিময় একশত পঞ্চাশ টাকা। আমি বিশ্বাস করি কবি সৈয়দ তৌফিক উল্লাহ আগামিতে তার নতুন অনুভূতির প্রকাশ নিয়ে সম্ভ্রান্ত পাঠকের সামনে উপস্থিত হবেন এবং পাল্টা কোনো মেজাজে বিচরণ করতে থাকবেন তার শিল্পভূমিতে।

কোন মন্তব্য নেই