সবাই আছে ধান্দায়, নীতিকথা কয় সুযোগের অভাবী কতিপয়।।
বিদ্রঃ ইহা আমার ব্যাক্তিগত মতামত, ইহার সকল শব্দাক্ষরিক দায় আমার।
এক,
কাঁটাতারে ঘেরা অঞ্চল কে দেশ বলছি, আমাদের সভ্যতায় স্বাধীনতা এত ঠুনকো যে, একে অন্যকে প্রকাশ্যে হত্যা করছি স্বগর্বে ! বারুদের পিঠা-পুলির ডালা সাজিয়ে নিয়ে একে অন্যকে বরণ করছি।
গলার ঠুটি চেপে ধরে রাখা আমাদের ধড় গুলোর বুকে চেপে বসে নেতা নামক উন্নত রাজনৈতিক প্রজাতির অতি উচ্চ বংশের মানবেরা বলছে তোদের মৌলিক অধিকার, মানবাধিকার, বাকস্বাধীনতা, সামাজিক নিরাপত্তা, ন্যায়বিচার নিশ্চীত করেছি। এখন তোদের মা, বোন, কন্যা ধর্ষণ হলে কত দ্রুত গ্রেফতার করছি, দেখিস না। প্রতিবাদ মারাস আবার।
সবক্ষেত্রে ঘুষ নয় স্পীডমানি দিয়ে কাজ কত সহজ করে দিয়েছি। এরপর ও শালা চীল্লাস, নিজেদের কে জাত, ধর্ম, বর্ণ, ধণী, গরিবে শ্রেণী বিন্যাস করে দিয়েছেন সুশীল নাগরিকনামী ক্ষমতাবতী মমতায়। গণতন্ত্র নামক বস্তুটায় ভোট প্রয়োগ নামক কষ্ট লাঘব হয়েছে আমাদের একুশ শতকের সভ্যতাভিমানী আবেগী ছিনালীপনায়।
বকেয়া বেতনের দাবীতে যখন অনাশনরত শ্রমিক মারা যায় তখন সেই সময়ে আমাদের টাকা দিয়ে ভীনদেশী নাচিয়ে এনে বিনোদন করি।
তাদের লাচ দেখি, গানশুনি।
দু- দশটা শ্রমিক মরলে বয়েই গেছে।
নব্য কায়দায় দেশের অর্থ হরিলুট চলছে, রাতারাতি পাচার করছে হাজার হাজার কোটী টাকা। কখন ক্যাসিনো কায়দায়, কখনও শেয়ারবাজারের ভাওতায়।
তুলনায় এরা সংখ্যায় সামান্য হলেও ক্ষমতার মাদুলির জোরে আমাদের ধোঁড়া করে রাখে। মুখ খুলেছো বা সত্য প্রকাশ করেছো তো তুমিও মায়ের ভোগে, সিনেমার ভাষায় এক ছোবলে ছবি হয়ে যাবে।
উচ্চ শিক্ষালয়ে সন্তান পাঠাতে বাবা-মায়ের বুকটা কেঁপে ওঠে। ডিগ্রীর বদলে কাফনে মুড়ে ওরা ফিরছে, নয়তো হেলমেট বাহিনী, লুঙ্গী বাহিনী, মুক্তমনাদের মারের আঘাতের দাগ বয়ে নিয়ে চলছে।
মাছ, মিষ্টি, নুনের মত বিচারও বিক্রি হয়, এখন এ দেশ সব সম্ভবের দেশ, ডিজিটাল দেশ। এখন সব কিছুই কেনা যায়, শুধু গর্ব করে বলতে চাই সবাই নয় তবে অধিকাংশ নাগরিকই বিক্রি হয়, শুধু দাম আর সঠিক মওকায়।
আচ্ছা পৃথিবীর একটাও কি দেশ আছে যে খানে গণতন্ত্র নামক বস্তুটা পুরোটাই আছে?
<চলবে>
১০/০১/২০
এক,
কাঁটাতারে ঘেরা অঞ্চল কে দেশ বলছি, আমাদের সভ্যতায় স্বাধীনতা এত ঠুনকো যে, একে অন্যকে প্রকাশ্যে হত্যা করছি স্বগর্বে ! বারুদের পিঠা-পুলির ডালা সাজিয়ে নিয়ে একে অন্যকে বরণ করছি।
গলার ঠুটি চেপে ধরে রাখা আমাদের ধড় গুলোর বুকে চেপে বসে নেতা নামক উন্নত রাজনৈতিক প্রজাতির অতি উচ্চ বংশের মানবেরা বলছে তোদের মৌলিক অধিকার, মানবাধিকার, বাকস্বাধীনতা, সামাজিক নিরাপত্তা, ন্যায়বিচার নিশ্চীত করেছি। এখন তোদের মা, বোন, কন্যা ধর্ষণ হলে কত দ্রুত গ্রেফতার করছি, দেখিস না। প্রতিবাদ মারাস আবার।
সবক্ষেত্রে ঘুষ নয় স্পীডমানি দিয়ে কাজ কত সহজ করে দিয়েছি। এরপর ও শালা চীল্লাস, নিজেদের কে জাত, ধর্ম, বর্ণ, ধণী, গরিবে শ্রেণী বিন্যাস করে দিয়েছেন সুশীল নাগরিকনামী ক্ষমতাবতী মমতায়। গণতন্ত্র নামক বস্তুটায় ভোট প্রয়োগ নামক কষ্ট লাঘব হয়েছে আমাদের একুশ শতকের সভ্যতাভিমানী আবেগী ছিনালীপনায়।
বকেয়া বেতনের দাবীতে যখন অনাশনরত শ্রমিক মারা যায় তখন সেই সময়ে আমাদের টাকা দিয়ে ভীনদেশী নাচিয়ে এনে বিনোদন করি।
তাদের লাচ দেখি, গানশুনি।
দু- দশটা শ্রমিক মরলে বয়েই গেছে।
নব্য কায়দায় দেশের অর্থ হরিলুট চলছে, রাতারাতি পাচার করছে হাজার হাজার কোটী টাকা। কখন ক্যাসিনো কায়দায়, কখনও শেয়ারবাজারের ভাওতায়।
তুলনায় এরা সংখ্যায় সামান্য হলেও ক্ষমতার মাদুলির জোরে আমাদের ধোঁড়া করে রাখে। মুখ খুলেছো বা সত্য প্রকাশ করেছো তো তুমিও মায়ের ভোগে, সিনেমার ভাষায় এক ছোবলে ছবি হয়ে যাবে।
উচ্চ শিক্ষালয়ে সন্তান পাঠাতে বাবা-মায়ের বুকটা কেঁপে ওঠে। ডিগ্রীর বদলে কাফনে মুড়ে ওরা ফিরছে, নয়তো হেলমেট বাহিনী, লুঙ্গী বাহিনী, মুক্তমনাদের মারের আঘাতের দাগ বয়ে নিয়ে চলছে।
মাছ, মিষ্টি, নুনের মত বিচারও বিক্রি হয়, এখন এ দেশ সব সম্ভবের দেশ, ডিজিটাল দেশ। এখন সব কিছুই কেনা যায়, শুধু গর্ব করে বলতে চাই সবাই নয় তবে অধিকাংশ নাগরিকই বিক্রি হয়, শুধু দাম আর সঠিক মওকায়।
আচ্ছা পৃথিবীর একটাও কি দেশ আছে যে খানে গণতন্ত্র নামক বস্তুটা পুরোটাই আছে?
<চলবে>
১০/০১/২০
কোন মন্তব্য নেই
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন