বাংলা সাহিত্যের প্রতিষ্ঠানবিরোধী লিটিলম্যাগাজিন ব্লগ

সাম্প্রতিক পোষ্ট

শাস্ত্রকানা : সৈয়দ তৌফিক উল্লাহ





প্রচ্ছদ: চারু  পিন্টু





উৎসগ ©
প্রফেসর শফিউল আজম

সব কবিরই একই নিজস্ব যুগ রয়েছে।

রয়েছে নিজস্ব কিছু রীতি, কিছু উদ্ভাবনী আর কিছু নির্দেশনা। সমকাল হচ্ছে সর্বদাই দুর্বোধ্য যুগ। প্রকৃত কবিরা চিন্তাররাজ্য নিয়ন্ত্রণে চিৎকার করেন, ঘৃণা করেন, তাঁরা লালন করেন নিজস্ব একান্ত জীবন থেকে নেওয়া অনুভীত পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালান নতুন আবিষ্কারের, বিচারের, প্রগতির, পরবাস্তবতার, লৌকিকতার, আধ্যত্ম অনুসন্ধানের ধ্বংসের। সৃষ্টির সুর ধ্বনিত হয় তাদের কবিতায়। জীবন ও কবিতার সমন্বিত অনুভবের উপলব্ধিহীন কবিকে কতটুকু আসলে কবি বলা যায়। যেখানে তারা বিবর্তনের নিষ্ক্রিয়তার জন্য উন্মুখ, পরাজয়ে পরিতৃপ্তী, নিস্পৃহা, দার্শনিক আরাধনায় ঔদাসীন্য সহ প্রভৃত আচরণদ্বারা নিজেদের বাঁচাতে সর্বদা প্রচলিত নিয়মে আবদ্ধ হয়ে পড়ে। নিজেদের সন্তুষ্টির জন্য মনস্ততত্ত পর্ব বিমূর্তয়ান ঘটায়। আর এদের ভিড়ে প্রকৃত কবিগণ অদ্ভুত, রহস্যময় আর অপরিচিত হয়ে উঠছেন। এই রহস্যময়তা বা অস্বাভাবিকত্বের মূল যাই হোক না কেন এই হালের প্রদর্শনী প্রক্রিয়ায় এর স্থায়িত্ব সাময়িক কারণ প্রকৃত পাঠক কখন ও কখন দ্বীধাগ্রস্থ হয়ে পড়লেও কালের সন্ধিক্ষণে এসব ধোপে টিকবেনা। দ্বীধাগ্রস্থহীন এই সময়টা "ভয়ঙ্কর অস্বাভাবিকত্ব" রূপে জীবনবোধের অন্তর্দৃষ্টি কামনা করে। বর্তমান কালের প্রধান সুর বলে সাধারণত স্বীকৃত ও পরিচিত এই অস্বাভাবিকত্ব এবং অচেনার অনুভূতির সঙ্গে যে বিভ্রান্তি, নৈরাশ্য এবং টানাপোড়ন অবিচ্ছেদ্যভাবে জড়িত তার সাথে সাথে প্রতিটি ক্ষেত্রে আজ একটা ব্যাপক অন্তমুর্খিনতার প্রবণতাও যুক্ত হয়। এই অনীস্বীকার্য যে সময়ের মধ্যে দিয়ে বহুলাংশে যে মনোভাব প্রকাশিত তা অসহনীয়, বেদনাতুর এবং সুতীব্র যা সহ্য করা যায় না। কবি, কবিতা, জীবন এর অনুভবহীনতা যতক্ষণ পর্যন্ত থাকবে ততক্ষণ অস্তিত্বের দর্শন দুর্বহ চিন্তার ভার বহন করবে। কবিতার ক্ষেত্রে যখন অস্তিত্ববোধহীনতার সঙ্গে জীবনের উপলব্ধিত অনুভবহীনতা জড়িত হয় আর কাব্যচর্চার মুখ্য মোহ তখন সেই সব অ-কবিগণ প্রকৃত কবি ও কবিতার দিকে সতৃষ্ণ, লোভাতুর, অনুকরণে ঝাঁপিয়ে পড়ে। নিজেদেরকে অবলুপ্তির হাত থেকে রক্ষা করবার জন্য প্রাণপণ দিয়ে একই জায়গায় নিজেকে প্রতীক্ষার চেষ্টা করে, জায়গাটা অপরিচিত হবার দরুণ এমন একটা জায়গায় এসে পেঁৗছায় যা ইতোপূর্বে কখন ভাবেনি। সে বর্তমানে কোথায় সে বোধ পর্যন্ত অবলুপ্ত হয়ে যায়। অগত্য সকল মৌলিকতাকে কঠোরভাবে অবদমিত করে এবং অনুরূপভাবে সব বিচার-বিবেচনা বিসর্জন দিয়ে নিজেকে কৃত্রিম আবরণে চকমকি করে সস্তায় উপস্থাপন করে। ব্যক্তিগত বিচারবুদ্ধি এবং অনুভূতির ধ্বংস করে সস্তায় বাজারজাত হবার পদ্ধতি সহজ হওয়ায় অধিকাংশ ব্যক্তি কবি হতে গিয়ে তারা আপন সত্তা সম্পর্কে সকল প্রকার বোধের শূন্যতায় পর্যবসিত হয়ে গতিহীন অনড় হয়ে পড়ছে।

প্রকৃত কবিগণ, জীবনের ক্ষণিকতা, ভঙ্গুরতা, অনিশ্চয়তা এবং অনুভূতির উপলব্ধিত জগৎ_ এ মানবিক প্রচেষ্টার পরিপূর্ণ পাঠ এর অনুসন্ধান করেন। কখন তাই বিদ্রোহ করেন। নিজের উপর নিজে পরীক্ষা-নীরিক্ষা চালাতে উদ্যত হন সহানুভূতিশীল সাম্যকথা, আবিষ্কার, প্রতীকী উপস্থাপন, কামনার ক্রোধ, উচ্ছাসের তাগিদে। উদ্ভাবন করে ফেলেন সংঘাত বিক্ষুব্ধ যুক্তিহীন এক খেয়ালী জগৎ। সে জগতের চারপাশে হঁ্যা-না এর দ্বন্দ্ব, যুদ্ধ, যৌনতা, বিপ্লব, চরম বিপর্যয়ের আসন্ন আভাস ছাড়াও এবং মানবিকতাবাদ, ভাববাদ, হতাশাবাদ ও তাঁর অন্তর্নিহিত সহজাত ক্ষমতা, যুক্তিবাদ, আস্থা-ভাবনার দর্শনে অনুভূতির স্তরে স্তরে পরমাত্মার উপস্থিতি আস্বাদন করেন। আর কবিতা হয়ে ওঠে কবির অন্তরের গভীরতম সত্তার আলোড়িত আশাবাদ। আমাদের যুগের, সম্ভাবনা ও সময়ের প্রতিশ্রুতি জীবনের নবরূপায়ণ।

শাস্ত্রকানা শব্দটি বাউল সম্রাট লালন সাঁইজী একটি গানের ব্যবহৃত শব্দ হতে উৎসাহিত হয়ে গ্রহন করেছি। কাব্যগ্রন্থটিতে “শাস্ত্রকানা” শব্দটি হতে উৎসারিত ভাব, বিধী, প্রেক্ষাপট আমার সময়ের চিন্তাররাজ্য নিয়ন্ত্রণে রূপে জীবনবোধের অন্তর্দৃষ্টি কামনা করে আমার নিজস্ব একান্ত জীবন থেকে নেওয়া অনুভীত পরীক্ষা-নিরীক্ষার ফলাফল, যা ব্যক্তি জীবন ও সমকাল এর সমন্বিত অনুভবের উপলব্ধি কবিতার মাধ্যমে প্রকাশের চেষ্টা করেছি। “শাস্ত্রকানা”কাব্যগ্রন্থটি কে পাঠক মহল গ্রহন বা বাতিল করার ক্ষমতার ব্যাপারে স্বাধীন।কাব্যগ্রন্থটির সকল ভুল-ত্রুটির দায় একমাত্র রচয়িতা হিসাবে একান্ত আমার। এমন কোন অনিচ্ছাকৃত ভুল-ত্রুটি পরিলক্ষিত হলে ক্ষমা করবেন।     


(সৈয়দ তৌফিক উল্লাহ)
90, পশ্চীম টুটপাড়া মেইন রোড, খুলনা।



................................................................................................................................................

সূচীক্রম

শাস্ত্রকানা
মৃত্যুর গান
আগে যদি জানতাম
যা’শালা
এইতো জীবন
সভ্যতার গল্প
খন্ডচিত্র
লাল চোখ
উন্মাদনার পঙতি
বিষন্ন বিলাপ
বীষমন্ত্র
যোজন বিয়োজন
ফেরারী ছিলাম না কখনই
যুদ্ধ যদি শান্তির পূর্ব শর্ত হয়
তবে যুদ্ধ শুরূ হোক
প্রতারনার তত্ত্ব
বৈপরীত্য দেখায়
জবানবন্দি
আকাশের ও আকাশ আছে
সময়ের আছে শুন্যতা
আমি আলফা ওমেগা নই
মানুষ(এক রকম শাস্তি পদ্ধতি) 
ধর্মো (সক্রামক অস্ত্র শাসত্র)
শূণ্য
ছন্নছাড়া
ভেবে নিচ্ছে, নিজ চিত্ত!
শ্লোক
সময়-অসময়
আজ নিরবতার ব্যবধান ঘুচলো বলে
জটিলতার ভারসাম্য
উত্তর আসবে না
লাল-কালো পদাবলী
বিলাষী জরিমানায়
হিরক রাজার দেশ
নষ্টালজি
আসহায় অরণ্য
আজব খেলায় মত্ত আমরা
স্মৃতির শহর
জন্মাবারকাল
মানুষ পোষ মানে না
ওরে পাগলী এটাই বাস্তব
ধারাপাত
শীৎকার
সবই মায়া
মাদার বোর্ড
বোবাকষ্ট
তবু এসো
বাঙলাদেশী বাঙালী
একটা খুন
আমারা হারিয়ে যাওয়া ছেলেবেলা
মনতো জমিদার
কতটুকু কাছে, ততটুকে দূরে
একলা থাকা মানে খারাপ থাকা নয়
দেখতে দেখতে  বয়ষ বাড়ছে,
গালিবের প্রতি
ইচ্ছা মৃত্যু
রুহুর কোন লিঙ্গ নেই
বখে যাওয়া এ কেমন স্বদেশ
মুঠোভর্তি আশ্বাস
মানুষ আসলে গড না, গডফাদার
সময়টা
সে
নিজস্ব হবার পর
আমিই আগুন
বাচার সে কি আনন্দ
মাগো
মানুষ জনম
প্রেম ইক্যুয়ালটু ভার্জিন ইনফিনিটি
কতটুকু কাছে, ততটুকে দূরে
সত্যি বলছি
স্বার্থপরতার ম্যাজিক
স্পার্কিং
বূপান্তর
পশুর চোখ দিয়ে মানুষদের দেখ
পূর্বনির্ধরিত
হাত বাড়ালেই, হাতের ছোঁয়া
................................................................................................................................................



শাস্ত্রকানা

এক.

চিলের ঠোটে চকচক করে রোদে মাছটা
নখের আঁচড়ে ক্ষতময় কানকো ওচোখ
তবু শোনার নেই কেউ মাছটা হত্যার শোক!
আর হতবাক হয়ে মানুষেরে দেখে আঁশবটি হাতে মাছটা!


দুই.

মানুষ ও শরীর কি একই জিনীষ,
যেটা জলজ জৈব! শরীরের এত কি ক্লান্তি,
তবে কি মানুষ এর বাবহৃত রূপ
যার কমনা-বাসনার তৃপ্তিই শুধু মৌল?
শরীর তবে কি পশুর মতন!
এইখানে মানুষ আর পশু একই আচরণ করে,
দুটোরই লক্ষ্য জোর করে কাম চরিতার্থের।
পার্থক্য একজনের বুদ্ধি বিবেক আছে, অন্যজনের নেই!
অথচ তাদের মিল আবিকল এক এইখানে, কারন কি কেউ জানে?

­­­তিন.

বাহুডোরে ছিড়ে যায় আটপৌরে শাড়ী
আলতা মাখানে পায়ে খোচা খায় সজোরে
মেয়েটির পাদিয়ে দু‘ফোটা রক্তও ঝরে।
তবু নির্বাক নয়নে ব্যাথাময় মুখে হাসি টেনে রেখে
প্রতিদিন ছুঁতেদেয় শরীর, ছুঁয়ে যায়
চেনা -আচেনা বাবুরা জনে জনে,
দুর্বা ঘাষের মত আমায় ডলে মলম বানাও
মেয়ে তোমার সব ক্ষত সারাবার কালে!


চার.

বেদনার সলতে পুঁড়ে বিস্ফোরিত হবে পাতকির মন
বিস্ফোরণের বরণ ডালাতে ফুলের পাপড়ি ছড়িয়ে
বাহুতে জড়িয়ে, শিরায় বাহিত রক্ত স্রোতে,
অনুতাপে ক্রোধের ঠোটে ঠোট রেখে, নতজানু হবে
বিস্ময়ে দেখবে ভোর লাজুক হয়ে আদি পাঁপ
বুকের উপর ল্যাপ্টে রবে বিনম্র নজরে।
আভিমান ভুলে বিরহের দজ্জাল দেয়াল ভেঙে
অপেক্ষার ক্ষণকাল শেষ হবে জাতিস্মরের ভাসানে
পাতকি আমায় কথাদেবে ফের যাবেনা ছেড়ে কোনখানে।

পাঁচ.

আমার সব লোহা গলে যাক
তুমি আমার প্রেমিকা
তুমি আমার আদর
তুমিই আমার চুড়ান্ত ভোগ।
ওহ! আমার হাত, দৃঢ় মুঠো,
কিশোর বয়ষের হাতের তালু,
তুমি জিন্দাবাদ।

ছয়.
তোমার সকল ইচ্ছে
তুমিই কেবল পূরন করতে পারো
ছুয়ে দেখতে পারো!
ইচ্ছে বাড়াওনা আরো।

সাত.
গতি দেখলে বেগ মাপা যায়?
তুমি থেম না।

আট.
যদি পারো মুঠোয়ভরে রেখো,
মুঠো খুলে দেখ না আমি আছি কি নেই।

নয়.
জীবন ছোট,
কিন্তু জীবনকালটা জব্বর হওয়া চাই।

দশ.
তুই রামপাল, আমি সুন্দরবন
আগুন গরম শিহরণ নিয়ে
হারিয়ে গেলে কই,
তোকে খুজছি না, এই বুনো রোদে
আছিস কোথায়, তোকে পাচ্ছি না
এখন কোনখানে, কই`তুই ?

এগারো.
আমার এক চোখে রক্ত জবা
আরএক চোখে দাহ্য পুঁড়ে যাওয়া অতীত
জিহ্বায় গোখরার সদ্য ছোবল মুখ দিয়ে
 গোঙানী নি:শব্দে পাষাণেরা
পাঁজরের হাঢ়ের মর্ম কি কখন বুঝবে?

বারো.
তাকাও না, তাকালেই আগুন।
 আমি আগুনেই ঝলসে গেছি,
আমাকে চোখ রাঙাস না
 আমার চোখ এমনি রঙিন
আমার বসন্ত সকল ফাগুন
আমার পুরোটায় জ্বলছে আগুন।

তের.
রক্ত বারুদের ফণাতুলে
শিরায় ছুটছে তুফানের মত
লন্ডভন্ড করে শীরদাঢ়াটা সোজা রেখে
সহজ করে বাঁচার আনন্দ
মানুষ হবার উপায় নিয়ে
সহজে যায়কি রমরমা মানুষেরে খোঁজা?

চৌদ্দ.
তোমায় খুজছি, কেন শুনছোনা।
মাগো তোমায় খুজছি তোমায় খুজছি
তুমি শুনছো না!
প্রিয়তমা আমি তোমায় খুজছি তোমায় খুজছি,
তুমিই শুনছো না।
তোমার জন্য পথ চেয়েছে কত বীরঙ্গণা!
তোমার জন্য হতাশা কেন?
এই দীব্যকালে, বেশতো দেখিয়েছিলে
বায়ান্নোর ভাষা আন্দোলনে,
একাত্তর এর মুক্তিযুদ্ধের রণে।
মাগো তবুও তুমি কি শুনছো না।

পনের.
কাউকে পুরোপুরি দিয়েদিতে নেই,
ফিরবার পথ থাকে না বাকি।

ষোল.

যে ডর দখাস!
সেই ডরে মুই মরি না।
ডরাবো কোন দুঃখে।


সতের.

জীবন।
অদ্ভুত‘না! জীবন সংসার
যেন দুমুখো বুনোঁষাড়,
হাড়ের পোশাকে মানুষেরা মুখোশে,
অপরিচীত নতুন জাত হয়,
যার বেরিয়ে পড়েছে থলে
থলের বিড়াল সহ...


জ্যামিতি।
বর্তমানকাল বলে কিছুই কি নেই!
আছে শুধু চুড়ান্ত আতীতকাল, আর
আতীত উদ্দীপ্ত সম্ভাবনার ভবিষৎকাল।
বর্তমানকাল যদি কিছু থাকে
তবে সেটা স্বয়ং নিজ নাপাক জৈব্যশ্য রূপে।
নারী।
জমজ মানুষ হয়, জমজ মন হয় না,
জলজ জীবন ভিজে যায়,
অশুভ শুক্রাণু নারী হয়ে যায়,
ঈশ্বরের প্রথম আদম ধরার ফাঁদ।


আঠারো.

সুদিনে সুঘ্রাণ শুকে
সুখ হয়না শুধু শোক কে
অসুখ ভাবা! ঠিকনা।
হারিয়ে যাওয়া সুখ ঠিকই ফেরত হয়
কিন্তু স্মৃতিরোমন্থন একই হয়না।
তাই হয়ে যাক দরকষাকষি!
সব কিছু বর্তমান ঘষাঘষি!


উনিশ.

বর্তমান :
তনু, মিতু, আফসানারা উপহাস করোনা,
হতাশ আমাদের প্রতিবাদী নিজেদের অসহায় দেখে।
এখানে চলছি অজাত কুজাত বৈরী বিবাদে,
প্রতিপদে পদে বাধা বিপদের বিনিময় নুপুরে দুপাদিয়ে,
সুন্দরমন হোক আর সুন্দরবন হোক,
দুটো প্রজাতিই বিপন্ন প্রায়, নিয়তির বিনোদনে।


কুড়ি.

সব দরজা গুলো বন্ধ,
সব জানালায় লোহার শেকল,
চারপাশে কাটা তারের বেড়া,
ধূসর দীর্ঘকাল, বড্ডো বেশী লম্বা।
একুশ.

শুনেছিলাম মানুষই ভগবান
এখন দেখি মানুষই এদেশের মাহাজন
শুনেছিলাম জঙ্গলে টারজানের গর্জন
আহারে সুদিনের সংসদ বর্জন।

বাইশ.

সূর্যটাকে রাখিস খেয়াল
ভাঙলিরে মনের দেয়াল।

তেইশ.

বুকের নালায় স্রোত হয়ে
রক্তজবা মাথার খোপায় প্রশ্নবিদ্ধ
চেতনায় কোন স্মৃতি রেখনা।
খেয়ালী মুঠোয় ছলনায় আঘাতে
কোন শার্টের কলার খাঁমচে থেকনা।

চব্বিশ.

বিধাতা উড়িয়ে দিয়ে ঘুড়ি
লাটাই রেখেছে হাতে
আমরাসবাই থাকি যেন দুধে ভাতে।

পঁচিশ.

সব কিছুই কেন্দ্রমুখী, সবই ছুটছে
কে কার আগে, কেউ কি জানে?

ছাব্বিশ.

এদেশের রাজনীতি:
একদা এক বাঘ পাহাড়ের উপরে দাড়িয়ে
সেই স্থান হতে বহমান ঝরণায় পানি পানকরছে, হঠাৎ সে পাহাড়ের পাদদেশে ওই একই ঝরণায় এক হরিণ শাবক কে পানি পান করতে দেখে। বাঘ উপর থেকে হরিণ শাবকে বলল তুই পানি ঘোলা করলি কেন? হরিণ শাবক বলল হুজুর আমিতো পাহাড়ের নীচে, আমি কিভাবে পানি ঘোলা করব। বাঘ তখন বলল তুই না করলে তোর বাপ ঘোলা করেছে। হরিণ শাবক তার উত্তরে বলল হুজুর আমার বাপতো মরে গেছে। বাঘ তখন বলল তাহলে তোর দাদা ঘোলা করেছে, বলেই শিশু হরিণ শাবকের উপর
বাঘ লাফ দিয়ে খেয়ে ফেললো।

মৃত্যুর গান
ও মৃত্যু! আমায় আলিঙ্গন করো! চুম্বন করো,
জাপটে ধরো জোরে;-স্বশব্দ জানান দাও, উচ্চারণে,
চিৎকারে, শীৎকারে, আন্দোলনে, প্রতিবাদে,
চেতনার সব দ্যেতনায়, অনুভবের পঙতিমালায়।

ও মৃত্যু! আমার অস্থিরতা তোমায় ডাকছে, শোন?
আমার ভেতরে, বাহিরে, শিরায়, ব্যাথায়, বেদনার
জরায়ূতে সদ্য ফোটা রক্ত জবায় ঝরে গিয়ে!

ও মৃত্যু! আমাকে অপেক্ষায় রেখ না!
কিইবা লাভ হবে, পাঁপ পূণ্যের মামদোবাজীর
মুনাফায়! তোমাতেও পুঁজিবাদ খাপ খায় না।

আমি ওই মৃত্যু চাই না,
আমার মৃত্যু হবে শব্দ ভাঙার কামারশালায়
আমার মৃত্যু হবে অনুভীত সব বর্ণমালায়
আমার মৃত্যু হবে গর্বিত প্রান্তিক চাষার মত
ফাটা খালিপায়ে ফোটা কাটার যাতনায়।

লালসার জীহ্বায় কামোনার খ্যাঁপা-খোঁপায়।
তাই শুধু চাই নিঃসঙ্গতার অটোপাসি হোক
আমার রুহু শরীর নামক পোশাক ছুড়ে
নগ্ন হয় কুয়াশামাখা ভোরে বাঁশ ঝাড়ের
উপর দিয়ে বহমান প্রকৃতির সিম্ফনীতে।

ও মৃত্যু! আমায় উসকে দাও!
লুটপাট করে নাঙ, আমার সকল ইচ্ছে-অনিচ্ছে
আছে যত! তন্ন তন্ন করো ফালিফালি করে কেটে দেখ
প্রতারিত সব জমাট কালো রক্ত ছাড়া আর কিচ্ছু নেই!
সেখানে আছে শুধু মৃত্যুর দগদগে অপেক্ষায়, ক্লান্ত জীবশ্যতা!
আছে শুধু প্রতিাহংসায় জ¦লন্ত চিতায় জ্বলে ওঠা
দাউদাউ করা আগুনের পুলকিত ফুল্কি পঙ্কিলতা!



আগে যদি জানতাম

আমি মিথ্যেবাদী রাখাল ছেলেটি সেই
জলরঙ আমার নতুন দেয়াল ছিল আজ নেই।

রক্তজবার লালে তুলছে গোখরা ফণা।
আমাদের আবার এক হবার নিয়ম নেই জানা।

জীবনের ক্যানভাসে আঁকছে বেখেয়ালি হিসেব- নিকেষ।
কেউ জানে না কোথায় তোমার আমার শুরু, কোথায় গিয়ে হবে শেষ।

বন্ধ হোক হতাশার মায়াজাল,
বন্ধ হোক তোমার- আমার মনের হরতাল।



যা’শালা

অহেতুক আগুনে পুঁড়েছে হাত এর পর হাত
হাতড়ে খুজেছি শূন্যতা রাতের পর রাত

আন্ধকারে গায়ে মেখে আলোর মতন
চন্দ্রাহত ছায়া হয়ে বিস্ময়ে তাকিয়ে রই
কই আমার ছায়া কই?

সবকিছু কি শেষ তবে; নাকি এটা নতুন বিগব্যাং এর পূর্বাভাস
নতুন করে গজাবে আশার বীজ, ডাইনোসারের মত বিলুপ্ত
হয়ে যাবে আমাদেও জীর্ণতা, হীনতা-দৈনতা, হতাশার সব কিছু।

টেরেনটোলার বিষ মানুষ মারবে না।
কোন বাঘ্র শাবক খাবে না পিতা বাঘ।

শেষ হয়ে যাওয়া সব বৃক্ষের আবাদ হবে নতুন নিয়মে
মাছগুলো আর এ্যকুরিয়ামে নয় সাতর কাটবে মুক্ত জলে।

শকুন উড়বেই নিজস্ব নিয়মে
তাই বলে কি সব পশু মরবে।

 

এইতো জীবন

অসংখ্যবার বলেছি ভেবেছি বারবার
প্রতিবাদে পঙতিমালায় সুগভীর দীর্ঘ:শ্বাস
কতবার পলানো যায় নিজের কাছ থেকে
মুখোমিুখি দাড়াবার সংকট সম্ভাবনায় উতরে যাবার জন্য
নতুন নতুন গল্প আর ব্যখার দাবী তীব্র হয়ে ওঠে
অপরিহার্য হয়ে ওঠে স্বল্প দৈর্ঘ্য কামনা গুলো।
নিয়তি নিয়ম করে। অনিয়মে ভরে ওঠে বুকের উপর ঘাঁসরোম
কোনদিন কোন আঙুল হয়ত নিয়ম ভেঙে
পরিচর্যা ছুতোয় বোতাম খুলে সর্মপিত হবে।স্হিতী পাবে পাষাণ পাঁজর।
খোলা চুলের সুবাস নির্লিপ্ত ঢঙে এলোমেলো
আঙুলেমেখে গুজে যায় কার কানে!
অমীমাংসিত এত্তো ব্যকারণ সর্ম্পকে জ্যামিতি দ্বীধাগ্রস্থ করে।
আমরা যারা অনিয়মের জলসায় বুঁদ হয়ে যাই,
লুটপাট হয়েছিতো স্বনিয়মে। তবু কেন আমায়
প্যালেষ্টাইনের মতোইসরাইল চোখ রাঙিয়ে যায়।
শূণ্যতার থলে শূণ্য হতে হতে তলানীতে অবশিষ্ট যাকিছু আছে,
সেটুকু নিংড়ে কি দিলে প্রান্তিক কৃষকের চাষাবাদ হয়!
ভীষণ খরায় শুস্ক হয়ে পড়ে আছে উর্বর জমিন,
অদেখা ফসলে পপি ফুলের আফিম হয়ে ওঠার মতন
যন্ত্রনাদায়ক, ব্যথা উপশম মলম লাগিয়ে অ-মীমাংসীত
মনের আস্থা আজ বিপন্ন বিলুপ্ত প্রায়।



সভ্যতার গল্প


এটা জরুরী নয় যে আমাকে সব কিছুই জানতে হবে
আমাকে জানতে হবে পূর্ব-পুরুষদের সব প্রথা-পার্বণ
যে গুলি তারা একতুড়িতে বাতিল করে দিয়েছিল
যেগুলো হয়নি বলে ছুড়ে ফেলেছিলো।
যদি বলি সব কিছু তাদের সঠিক ছিলো অথবা সঠিক ছিল না।
এজন্য কি আমাদের সময় বদলে যা, বিলুপ্ত হবে অথবা
গড়ে উঠবে আমাদের নতুন কোন কোষ?
যে ভাবে ডাইনোসার টিকে আছে এখনও
যেভাবে মানুষের আদিম স্বার্থই এখনও চুড়ান্ত।
আমরাতো পরাস্ত নই, তবে কেন সংঘাতে জিতে যাই,
আমরাতো জয়ী নই, তবে হারানোর প্রশ্ন আসে?
কিইবা আছে আমাদের!
যা আমাদের পূর্বপুরুষদের ছিল না।
উত্তর পুরুষদের ও থাকবে না।
বাজি ধরে বলতে পারি মনুষ্যত্বের কারনে অমরা টিকে যাব।

তাই আমাদের বাদে আর কারোতো
            কোন কিছুই ধ্বংস বা হারনোর ভয় নাই।

আমাদের মানে কি?
আমাদের পূর্ব ও উত্তর পুরুষদের বৈষম্য?



খন্ডচিত্র


এক.

মেয়েতো! পোঁড়াতেই পারো সকল পুরুষ
ফেলে দিতে পারো স্বর্গের চাতাল হতে
এখনো চড়মাতালের দল হুল্লোড় খোজে
গময়ের ভাজে ভাজে, উরুসন্ধির শুরু হতে।
প্রিয় ভলকানো, তোমার লাভার স্রোতে ভাসিয়ে দাও
আমাদের জমজ পাঁজরে পুরাতন অভ্যেসে।
শুনবে সবাই ফ্যসফ্যাসে গলায় ফিসফিসে উচ্চারণ
ভালবাসায় কেন এতো ব্যাকারণ?

 
দুই.

যেনো অভ্যন্ত দাসত্ব বেওয়ারিশ করে দিল
কেটে নিল আলজিহ্ববা, সকল পায়রার ডানা, ফুলের পাঁপড়ি
দুচোখ লবনাক্ত হয় রক্তাক্তো খন্ডখন্ড ফোটায় ফোটায় জলে।
শীতের খসে পড়া শুকনো পাতার মতো ঝরে পড়লো জোঁড়াভুরু।
একফোঁটা নাপাক জল, জোড়াতালি দিয়ে বানালো জীবন
কিস্তির ফাঁদে পড়ে পাড়ি দিয়ে ক্রান্তি রেখা।
স্বার্থপরতার কবলে পড়ে সব কিছু এখানে অস্তগামি!


তিন.

প্রতিদিন নিজেকে বোঝাতাম, আজ বুঝিনি
ঠিকই বুঝবো কাল। কিন্তু বুঝতেই পারিনি
বোঝার বাইরে আমার সবাকিছু জটিল দুর্বদ্ধো
ভাব প্রকাশের মাধ্যম বধির তাই।
কিইবা করবো, এটা সরল স্বীকারক্তি
যার জন্য উচ্ছুন্যে গেছি।
ঢাকডোল বাজানো ভালবাসার বারকোড
ডামির মতো পূর্ব প্রেমিক, বন্ধু, বিকর্ষণে
সারিয়েছে বারবার ক্ষতময় চাবুকের দাগ।
ভালবাসা প্রকাশের কোন বর্ণমালা নেই
শব্দহীন ভাবে পালিয়েছি স্বজ্ঞানে বর্ণময়
প্রতিশব্দ, পরিভাষা, যা সহজেই বোঝাযায়
কিন্তু পারিনি। ভেবেছি ভালবাসা হয়েই যায়,
নিয়ম করে ভালবাসা হয় না, যায় না।
বুঝিনি বলে বোঝাতে হয়নি।

 
লাল চোখ

দৃষ্টির সীমানা ভেঙে পালিয়ে বেড়ায়
সূর্যমুখীর ক্ষেত হলুদ কামনা নিয়ে
সুমুদ্রতটে লবণের চাষাবাদে
চোখে ময়লা পড়েছে বলে জল ঝরে
ওটাকে অশ্রু বলো না।

ভেঙে ফেলনা আয়না যতই নিজেকে দেখে
মুঠোমুঠো বেঁচে ওঠা আনন্দগুলোই শুধু কাছে রেখে।

ওটা অশ্রু সমেত চোখে
চোখ জুড়ে স্বপ্নময়তা
এই বিলাষীতো স্বৈরাচারিত্ত
অনুভবের ডাগর ডাগর দৃশ্য।

পলকের পুলকিত ঘামে ভিজে যায় পীঠ
চুলের মুঠোয় ধরা আঙুল আদর করে না
কোন নখের আঁচড়ে ক্ষত।
স্মৃতিরভারে হোক না কাতর যত।
 

উন্মাদনার পঙতি

যারা আজ ভয় পায় না কে না বলতে
তারা সব ভেগে যাও আমাদের সমাজ হতে...
যারা শুধু দেখে দেও দূর হাতে তালি
তাদের জন্য মহাশয় কুত্তারবাচ্চা গালি...

বুকের মধ্যে বারুদ ঠাসা অল্প-বিস্তর ভালবাসা
যুদ্ধে বিদ্ধস্ত ময়ূর পাখা পেখমে কান্নার জল
আগুনের আবদারে দাহ হয় মহাকাল।

আলোর মিছিলে বেদনার পোষ্টার
ঠোটে নিভু নিভু বিড়ির আগুন
আহত হাতের আঙুলের নখে শোষনের দাগ
নিপীড়িত মানুষের দল দোহাই তোদের জাগ।

এসব করেও শোনায় গনতন্ত্রের জয়গান
হায় ভগবান ! হায় ভগবান ?
 

বিষন্ন বিলাপ

অসম নিজস্ব এত্তো দ্বন্দ, পীঢ়া দেয়
গুমরে ভেতরে ক্রোধ, বিস্ফোরিত হয়, দ্বান্দীকতার স্ব-সৃজন সংকট স্বপ্নময়,
কল্পিত কৃত্রিম ঘোরে বিলাসিতা, ভূপতিত হয়,
যেন লাল মাটির ঢেলা।

প্রেমে, পাঁপে, দ্রোহে, স্বদেশী টানে
শব্দের বর্নমালায় মেঘ হয়ে ডাকে।

সকল বসনা কামনার আগুন পুঁড়িয়ে দেয়, স্বপ্নের সব শহর সব গ্রাম।
সংখুদ্ধ খোভে আশার উনুনে তা'দিচ্ছে, লাল- নীল মানুষের দল।
বুঁদ হয়ে ছুটছে শিরায় স্বপ্নগাঁথা চকমকি, সময়ের পরিহাস
স্থীর নয়, অস্থিরতার ফুটন্ত গরম জিলাপীর রসে।


বীষমন্ত্র

আততায়ীর পরিচয়ে ছদ্দবেশী প্রখর কাল হাত
বীষের বিন্যাসে দোদ্দুল্যমান সাপের ফণা।

প্রিয়জনের পরিতাপ দুঃখ নিয়ে পাহাড়ী নদীর বেয়ে চলা
অফুরন্ত আবিস্কারে ভয় হয়   নতুন পাথরে পলি জমে।

ভেতরের বোবাকান্না গড়িয়ে যায় নদীর মোহনায়
রক্তের নিজস্ব কিন্তু নিয়মহীন ছটফটানি ভয়ে চলে।

অদৃশ্য হাতের পর হাত আহত আঙুল নিয়ে শ্বাসরোধে ব্যস্ত
ক্লান্তিরভারে আমার স্বপ্নগুলোর হত্যা দেখি।

আমি বীষ চাই অবিরত  ছটফটাই নিঃসঙ্গতার গহীনে
তবু সাপের ফণায় নাচবো না বাধবোনা দংশনের কপাটে গীট।

যতই আলো নেমে আসুক আলোর চুমুতে
দু-হাত বাড়িয়ে স্পর্শের অভাবে গুটিসুটি রয়
একেবেকে বয়ে যাই র‌্যাটলস্নেক হয়ে ইচ্ছাধারী নাগের বেশে।

তবু বীষ রক্তের ছটায় শরীরের সব গাঁয়ে ছুটে চলে
পাহাড়ি নদীর ঢালে বন্ধু আমার জন্য
পাঁজরের হাড়ে মানতের তাঁবিজ ঝুলিয়ে রাখে!



যোজন বিয়োজন

সে এক ধ্বংসান্তক শুরুর মতন সূর্যলোকে
পেছন ফিরে দেখিনি কতদূর অতিক্রম করেছি,
চীন্তা করিনি, ভেবেছি নিজের কথা আর
অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি এই অলসতায়।

ব্যস্ততার ভানে সর্বদা থেকেছি দুরন্ত
অতীতের ক্ষতময়, পূঁজে পূর্ণ সময় নিয়েছে কেড়ে
তবু অততি ছেড়ে যায় না, ব্যস্ত হতে দেয় না।
প্রায়শই সব কিছু ছুড়ে ফেলি,
যা আমাকে আচ্ছন্ন করে বা সর্ম্পকের ইশারা দেয়।

ছুড়ে ফেলি সকল শূণ্যতা, স্বপ্নালু চোখে নিজেকে
আলোর আয়ায় দেখি বিষন্ন-বিপন্ন ফসিলের মত অন্য আমায়
আমার বিষন্ন আঙুল যা একদিন ছঁয়েছিল তাকে
আঙুলগুলো নেচে ওঠে চন্দ্রাহত জোৎস্নার রাতে।

তখন শুধু থাকি আমি এবং আমি।

শূণ্যতার কাছে এসা পূর্ণতা পাবে, নগ্নতার হৃদকম্পন,
ঘামে ভেজা শরীর শুনবে বিচ্ছীন্নতাবাদী ছড়া।
ছন্নছাড়া চুমুর লজ্জা ভাঙবে বাহুডোরে জড়িয়ে
সারা জাহান দেখবে আর দেখতেই থাকবে অলীক সেই দৃশ্য।




ফেরারী ছিলাম না কখনই

ছবিঘর আর আলোচোর আয়না অদৃশ্য যূথ
বিপ্লবীরা চারপাশে সস্তা সুনাম আথবা শেকে বিহ্বর নিরবতা নিয়ে
আমাদের সীমানা স্বভাব সরীসৃপ হয়ে একবেকে আঁধারেও পথ চলে
আমাকে আস্থিরতার দায় দিয়ে লাভ কি? তবে ক্ষতি নেই
যদিনা উৎসবে বাদ্য যদি বাজে, তবে দৃশান্তর ঘটবেই!
এটা ঠিক ভবিষৎ বর্ণনা বা পালিয়ে যাওয়া নয়!
তথাপি দাড়াবার সাহস হারিয়েছি বারবার, তবু দাড়াই
নিরব আলোর যোনী পথে , ওটা যে লাল চূণী, ঘটমান ভবিষৎ
আতীত সর্বদা আহংকারী করে তোলে, বায়ানড়ব, উনসত্তর, একাত্তর
আমি সার্টিফিকেটহীন মুক্তিযোদ্ধার আবাদের ফসল, সন্তান
সবসময় তাই প্রবণতা প্রকৃতির কাছ আপরিহার্য হয়ে ওঠার মতন
আমার কাছে আসতে মানা নেই, তবুও বলছি এসোনা
আসলে থমকে আমি ছিলামনা, আছিও না, ভবিষৎএও না





যুদ্ধ যদি শান্তির পূর্ব শর্ত হয়
তবে যুদ্ধ শুরূ হোক

আমার কাছে মহান চেএর চেয়ে হিটলার বড্ডো বেশি প্রিয়,
মহান মুজিব-জিয়ার চেয়ে কর্ণেল তাহের আমকে উৎসাহী করে।

আমার কাছে দু-খন্ড বাঙলার চেয়ে একটা স্বদেশ প্রিয়
যেখানে দেশভাগের বেদনা নেই আছে উন্মাদনা,
বায়ান্ন মানে বোবাগিরির বিনাশ আর প্রথম কথা বলা জন্মদাগ
উনসত্তর নাবালক স্বদেশ সদ্য চিৎকার, প্রতিবাদ
একাত্তর মানে সাবালক স্বতন্ত্র স্বদেশ, নিজস্ব পরিচয়,‘বাঙলাদেশী
আমার কাছে স্বৈরাচারীর পতন এর চেয়ে
যুদ্ধ-অপরাধীদের ফাঁসির দাবি গুরুত্বপূর্ণ।

আমার কাছে আমি বলার চেয়ে আমাদের বলতে ভালোবাসি।
এত কারো কিছু যায় আসবেনা জানি, তাতে কার কি?
আমার কাছে বরং এসময়টা আনেকবেশী দামি,
শুধু আফসোস হয়; বায়ান্ন, উনসত্তর , একাত্তর, উননব্বই
একটা বুলেট আমার পাজরে লাগেনি।

হয়তো কোন বুলেটে আমার নাম লেখা আছে
তাইতো ফেলানী, বিশ্বজিৎ, টিপাইমূখি বাঁধ আমাকে চিৎকার
দিয়ে বলে, দুঃখ ঘোচানোর দিন এসেছে তোমার
আমাদের প্রজন্ম যে ভীষনদামি
এসো সবাই রাজপথে নামি! প্রজন্ম যে ভীষনদামি
স্বদেশের জন্য জীবন দেবার এখনই সময়!
আর কতো বরবরতা সহ্য করবে?
বিডিআর বিদ্রোহের নামে শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হত্যা
যুদ্ধ-অপরাধীদের বিচারের নামে প্রহসন, বিচাবর্হিভূত হত্যা
ধর্ম নিয়ে রাজনীতি, বর্ডারের লাশের পর লাশ
আর নয় কোন রাজনীতির ধোঁকাবাজি
এসো আজ যুদ্ধে নামি।

আর কত লাশ, কত রক্ত দিলে শান্তি আসবে!
প্রজন্ম যে ভীষনদামি, আমরা প্রস্তুত, বুকে পূর্ব-পুরুষদের সাহস
এসো আজ স্বাধীনতা রক্ষার যুদ্ধে নামি



প্রতারনার তত্ত্ব
 
ঘুমঘোরে ক্লান্তিময় ঘৃণায় দুচোখ বুজে যায়
প্রিয় মুখ জেগে ওঠে যাতনায় পাশ ফিরে
ভর করে সম্ব্রান্ত খুনি সুখ ক্ষতবিক্ষত স্মৃতির লালসায়
হাতের ইশারায় সকল আঁধার কেটে হবে দিন
রাত ঢেকে যাবে গাঢ় লজ্জায়, স্বরোচিত ব্যাথারা ফিরবে ফের
পাঁপের প্রণয়ে দুর্মূল্য শান্তির জোট হবে, ভোট হবে গণতন্ত্রের
রন্ধে রন্ধে পরাধনিতার বীজ দুজনার স্বভাবে পুঁতে ছিল
পাতকির দল তার কতক ভেঙেছি চুরমার করে দিয়ে,
সাজিয়েছি কতক রঙিন মূর্চ্ছনার প্রতারনায়
জেগে উঠি বারবার, হাততালি, ইর্ষায়, ঘৃণার আলিঙ্গণে জড়ানো নিস্তব্ধতায়।
এগোনোর সবকালে সবযুগে সময়ে-অসময়ে খাবি খায়!
কেউ আগে যায়, কেউ পওে, কেউ যেতেও পারেনা,
কেউবা যেতেই চায়না, নিজস্ব ছায়ার সীমানা পেরিয়ে
নক্ষত্র পুঞ্ছে উল্কা পাতের মতন আকাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে





বৈপরীত্য দেখায়

আমার হৃদয়ে সন্ত্রাস এবং একটি সর্প আবাস হয়
একটি কর্পোরেট গ্রহের উপর পর্দা ভেঙে আকস্মিক
সময়ের ঘুমে চার বছর ধরে নীরবতা কাম্য আনন্দ।
যদিও সামগ্রিক আবস্থায় অঙ্কন করে,
তারা অশালীন অবস্থায় ছিল।

আমি সাবধানে শুনলাম মাঝখানে
কাম্য আনন্দ দুর্বল এবং অনির্দেশ্যক

পাশাপাশি হাঁটার মধ্যে সমস্ত নিখুঁত,
সজ্জিত এবং ছায়াসঙ্গীপ্রস্তুত রেখে
পৃথক আত্মারা এর অদৃশ্য প্রস্থানের জন্য প্রস্তুত হতে থাকে ?

জন্মস্থান দ্বারা, প্রত্যেক শব্দ একটি হাজার দ্যোতনা হয়
বিপরীতে শক্তি দ্বারা প্রস্তাবিত পরামর্শগুলি স্বেচ্ছায়
সর্পের দংশনে এবং নদীভাঙা বানভাসি বলছে, ফিরে আসুন!
নদী যতক্ষণ কল্পনা উত্তেজিত উষ্ণতা হরিয়ে
ফের ডাকে জন্ম বৈপরীত্য গাঢ় নীল জলে...




জবানবন্দি


আমার কবিতাগুলো জনৈক বৃদ্ধের দাতের মত নড়বড়ে
অক্ষরগুলো নোম্যানস ল্যান্ডে কাটাতারের বেড়া
আমার বিত্তের পতন সামাজিক ব্যবসার ধ্বস
ভেতরে গোঙানি যেন এক একটা প্যারা
ছন্দের শেকলে আটকানো পঙতির মতন
মনের দরজাটা বন্ধ
মাত্রাগুনে সময় গড়িয়ে যায়
কবিতাগুলো শিরোনাম হীন, মুন্ডকাটা শরীরের ভার
লাইন এর পর লাইন, রেশনের দোকানের সামনে মানুষের মত দাড়িয়ে আছি।
 দাড়ি, কমা, যতিচিহ্ন সব বিস্ময়কর!
আমি আর আমার কবিতা দুটোই একই রকম
যার কোন ভবিষৎ নেই।
নেই কোন সম্ভাবনা




আকাশের আকাশ আছে
সময়ের আছে শুন্যতা


অন্ধ তীরন্দাজ নিরীখ করেছে
কাপছে তার দু'হাত, প্রবীণ আঙুল
দিয়ে নিশনায় তাক করেছে,
পুঁজি শুধু চোখের করোটি ভরা স্বপ্ন
গুম হই স্বেচ্ছায়!
স্মৃতিপট রেখায় ভুলগুলো সাঁতার কাটে,
চোখ রাঙায়, আফসোস হয়
প্রশ্নকারী নিজে নিজেকে উসকে দিই,
স্বপ্ন নিয়ন্ত্রণ পিল খুজি। না পেয়ে
নিজেকে প্রশ্ন করি।
কেন জন্মলাম?





আমি আলফা ওমেগা নই

সে এক স্বন্নময় শুরুর প্রাক-কালে
নিজেকে অভিযোজন-বিয়োজন করলাম।
আমি কি শুরুর জন্য প্রস্তুত?

ভেতর বাহির থেকে উত্তর আসছে, হ্যাঁ

আর পুড়ে যাচ্ছি পাঁপে...
প্রণয় পেখম ছিড়ে রঙিন শহরে উদ্বাস্তু শিবির
শ্লোগান মুখর প্রত্নতত্ব বিভাজিত আজ





মানুষ(এক রকম শাস্তি পদ্ধতি


আকাশে বসত করে মহান এক আত্মা; যিনি এই শরীরদান করেছেন আমরা আমাদের এই শরীর এর মালিক 
 অথচ আমাদের শরীর নামক খোলস ব্যতীত কোন কিছুর স্বত্ত্ব অথবা আধিকার
বেচেঁ আছি এর চেয়ে বিস্ময়কর ! আর কিছু কি আছে যা অন্য জীবদের নেই
হ্যাঁ আছে বৈকি, সে এক গুপ্ত ধাঁধঁ

বিস্মিত হবার দিন ফুরাবার পর কিম্বা যা বুঝিনা বলে আমরা ভীত!
সেই সব ভয় হেসে উড়িয়ে দিয়ে খিজির ( :) এর সাথে মোসাপা করার শখে, ইবাদতে,
জিকিরে জিকিরে রব ওঠে সত্যি সব সময় সত্যি বলে

এত ধরমো, জাতি, উপজাতি, ধর্মোশালার পার্থ্যেকো বুঝিনা বলে,যুক্তিবাদী বা আস্তিক-নাস্তিক নই,
আমি একটা শরীর ছাড়া কিছুই নই

মহান এক আত্মার খন্ডের খন্ডাংশবিন্দু মা্ত্র; শরীরে খোলসে,
আমাদর শাস্তি হয়েছে, আদমের লোভে পড়ে!

বাধ্য হয়ে শাস্তির নাম মানুষ লোহারবেড়ীর বদলে একটা মুখোশ,
কষ্টিউম হিসাবে শরীর, হাঁতকড়ার বদলে বিবেক, যা নিয়ে
এক মঞ্চ -ভূমন্ডলে আদিম সময় হতে খেলছি সেই শুরুর থেকে




ধর্মো (সক্রামক অস্ত্র শাসত্র)

তখনো ধর্মোর হয়নি মানুষের জন্ম হয়েছেঅঘটন তখনিই ঘটলো যখন গোষ্ঠীর প্রয়োজন জীবনের তাগিদে অপরিহার্যো হয়ে উ্ঠলো 
 আবিস্কার হলো সমাজ মানুষের প্রয়োজনে মানুষেরা তখনও স্বার্থো সম্ভাবনা যোগবিয়োগ শিখিছে তখনই আনিবার্যের প্রসূতিকাল,  
প্রথম কান্না জন্মনেবার সাথেসাথে

মতভেদ আর নেতৃত্ব বড্ডো দরকার পড়লো আর চমৎকার ভাবে মোড়লের দল নিজেদের দল ভারি করতে গিয়ে 
 যে সকল আস্ত্র ব্যবহার শিখলো প্রয়োগ করলো তার মধ্যে ধর্মো সৃষ্টির সেরা আস্ত্র, আজও অবধি?

যার ব্যবহার আজও মানুষ ধরার ফাঁদ হিসাবে মানুষ ব্যবহার করছে


শূণ্য


আমার বাকরুদ্ধ অন্তরে বারুদের নিবাস,
শূণ্য হতে হতে অবশিষ্ট
কিছুই নেই দেবার, স্বপ্নগুলো!
নিকোটিনের ধোঁয়া হয়ে উড়ে গেছে সেই কবে
পড়ে আছে শুধু ছাইভস্ম, যা একদিন হাওয়ায়
হারিয়ে যাবে
আমার কিছুই নেই নতজানু এই শরীরে
এই শূণ্যতাই আমার অহংকার-
আমার আবেগ আচরণ, আমি তাই কারও নই
কোনদিনও ছিলাম না



ছন্নছাড়া
আমরা নিয়ম ভাঙছি বারবার
নির্ভীঘ্নে ফিরছি প্রতিদিন ঘর:-
সংসারে।
সংসার মানে একগাদা গোছানো
মিথ্যের কথা। জোৎস্নায় মেঘেতে মায়াজাল নিয়ে
মানুষের মসনদে মানুষ মাতছে
জীবণ নিয়ে মায়ায় খেলছে
দাস্যিপণায় দ্বন্দে জ্বলছে!
মানুষ-
সৌখিন প্রতিশ্রুতি
প্রাচীন পেশায় প্রবীণ প্রজাপতি
কখনও বা মন খারাপের রাজ্যপতি
রুপালি পাতায় রূপকথায় মলাটে বন্দী
ছদ্দবেশী সময়েরা পায়তারা করে

সময়?
আলীক গোলক এক ধাঁধায়।
মানুষেরা অধিপতি



ভেবে নিচ্ছে, নিজ চিত্ত!


আগুন্তকের শোক তোমার অতীত
তোমার ইচ্ছ, তা'দিচ্ছে, তামাদি অসুখ,
তোমার ভাবনায় চলবে আমার জীবধন
আঁধারের ফৃল্কি আছে, কবিদের নুরাণী সুখ।
তুমি পরতীত এক পাল্কিতে!
আমি যাচ্ছি ঘোঁড়ায় চড়ে
ইচ্ছের কচ্ছপ গতি তোমায় তাড়িয়ে
বুকের বা'পাশ নাড়িয়ে আমার জীবন
আমার মতই চলছে আমার সব ইচ্ছে


শ্লোক

চলমান নদী
       তোমার খোজে যদি
খরস্রোতা ঢেউ    
ভাসিয়েছে কেউ

আকাশাজোড়া পাখির তাড়া
বর্ষার দিনে সব কবি কোকিল জোড়াজোড়া

কপালের টিপ যদি হয় লাল
বলে ফেলি বন্ধু সুখে থাকিস চিরকাল

নোঁনায় ধরা পাঁচিল
           আকাশের  নি:সঙ্গ গাংচিল।

ছোঁ দিয়ে ছিনিয়ে নিল তোমার-আমার দিল




সময়-অসময়

 
পুঁড়ে যাচ্ছে জাতি,পুঁড়ছে আমার স্বদেশী
ক্ষয়ে যায় মেরূদন্ড রক্ত দিয়ে কেনা স্বধীনতা
শ্লোগান মুখর বাংলাভাষী মুখ সেলাই করা ঠোটে
সবকিছুতে রাজনীতি বানিয়ে পদযাত্রার খালিপা চাটে

ওরা কুকুর-হায়নাও না, হায়নারতো ক্ষিধের স্বার্থ থাকে

এরা কারা ? আর যাই হোক বাংলাদেশী হতে পারে না,
পিলখানা থেকে হলি আর্টিজোন হামলা, নিজেদের নিজেরা হত্যাকান্ড,
বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়, প্রায়শই বর্ডারে গুলিতে বাঙালী খুন,
বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়, নিজেদের সাথে নিজেদের ঠকানো,
বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়, ধর্মেরনামে মানুষ করছে মানুষ খুন!

আমি আমার পূর্ব-পুরুষদের বলতে শুনেছি
আমরা সেই মুক্তিযোদ্ধার ঔরসজাত,
বীরঙ্গনা আমাদের মা
আমরা কি আমাদের এই জাতির কথা
অতীতের এত্ত বিজয়গাঁথা।

আমরতো এমন না,
তবে কেন আমরা প্র্র্রায়শই পশুর তান্ডব করি?





আজ নিরবতার ব্যবধান ঘুচলো বলে


ফুসফুসে দাউদাউ করে রক্তে জমা ক্রোধ
পাকস্থলি মনের দুরত্বে ফাঁদ পাতা!
আমায় ধরবে বলে এগিয়ে আসলো যে,
নেই সে আর সেখানে আমায় ধরতে।
যে কান্নাগুলো কান্না হয়ে ঝরে গেল
সে যে আমার কলঙ্কের আরশ; উতলা হয়েছে।

থামাতে চায় যে শ্বাস, পাজরের খাচায় ছটফট করে
ফুলকি ঝরায় আর্তনাদে জ্বালিয়ে দিতে দাহকালে
শহর সমেত পুঁড়ে এ্যশকালারের ছাই হবে
জীবন জোড়া কয়লা খামার, কামারশালায়
হাতুড়ি পিটিয়ে পাজরের খাচা তৈরি হয়
খাচায় ভরে দেওয়া হয় অসংখ্য চুমুর কলাকৌশল।

হয়ত ছিলনা তাই থাকেনি সে সেই সময়
তাই আরও কয়টা দিন প্রতি রোমকূপে
অবশ্যই ব্যথার নিটোল দাগ নিশ্চয়ই থাকবে না।

থাকতে পারে না, থাকার কথাও না
যদিনা ফুরিয়ে যাই শুরুর আগেই
কপালে ঠুকবো পাথর জীবনে যদি না ফুরিয়ে যায়



জটিলতার ভারসাম্য


কেউ খায় নুন, কেউ মেঘ, কেউ বা খিস্তি,
আমি খাই আস্তো সিগারেট, বুকভরে নিকোটিন,
টেনে নিই গোঙানো ঘুমে
ক্লান্তিরভারে জোনাক পোকার আলো
দাউদাউ করে জ্বলে
আমিও প্রেমিক হয়ে যাই
সেই আলোয় পুঁড়ে
শুধো তোমার অশরীরি নিয়ে
আকাশ দিয়েছি ছুঁয়ে

 

উত্তর আসবে না
 
পাথরে পাথরে ঘষলেই আগুনের ফুলকি
বের হতেই হবে, কে দেবে তার গ্যারান্টি?
জন্মালেই পাঁপ-পুঁণ্যের হিসেব কষলেই
স্বর্গের টিকিট কাটা যায়,নইলে দোযখ নিবাসী।

আমিতো জন্মাবে কিনা? কেউ প্রশ্ন করেছে কি?
আমার অনুমতি ছাড়াই আমাকে জন্মাতে হলো।
তবে আমি কেন পুলসিরাতের ভয় পাবো,
কেন হবে আমার গোর আজাব কবরে?
আমিতো বলিনি আমাকে জন্ম দিতে,
তবে জন্ম দায় আমি নেবো কেন?
আমি যা খুশি করবো
তাতে খোদার কি




লাল-কালো পদাবলী

জীবন মানেই মুঠোয় ভরা রটনার জানজট
আমাদের কিচ্ছু করার নেই,
আমরা জাগতিক উড়নচন্ডি মাত্র।
আমরাও খেলি, হোলির দিনে,

গলির মোড়ে, প্রতিদিন খেলি নিজের সাথে খেলা।
খেলা ঘরেই গড়িয়ে যায় সকাল-দুপুর বেলা



বিলাষী জরিমানায়

আমি চরম বিলাষী ছিলাম,
রাজার মত বলতাম, তুই কোথায়?
কেন আমি রিক্সায়!

তোর কাছে কাগজ কলম আছে,
না, ফোন কাটিস না,
খানিক বাদে বলতো বল এবার, আমি লিখছি

আর আমি পাগলের মতে বলে
দিয়েছি, আমার সব অনুভবের
শ্রেষ্ঠ শব্দের গাঁথামালা, বর্ননায় কোন কিছু না লুকিয়ে।

এভাবে কত জ্বালিয়েছি, জন্ম হয়েছে কত কবিতার।
জান তার অধিকাংশ হারিয়েছি




হিরক রাজার দেশ

দেশ এখন মশার মত ব্যাপার
কোন দোষ দায় নেই রাজার

রাজা বলল মন্ত্রী ঢেড়া পেটাও!
জানিয়ে দাও সমস্ত রাজ্যবাসি কে
মলাটে বন্দি কাগজে লেখা নিয়ম
আমিবাদে কেউ রাজ্যে পারবেনা করতে
আছে যতসব আনিয়ম

আমার ইচ্ছেই রাজ্য চলবে
আমায় দ্বীগুন খাজনা দিয়ে
জনগণ চলবে।

রাজ্যের শাখাগুলো আমার শখের ঘুড়ি
রেখে লাটাই সুতোয় স্বইচ্ছায় তাই
আমি আমার ইচ্ছায় উড়ি
বাজাতেই আঙুলে তুড়ি

আমি হিরকের রাজা আমি ভগবান
জনগণ আমার খেলনা পুতুলের মত দান
রাজ্যপাটে গোল্লায় যাক ওরা
কথা বললেই নিয়ে নেব গর্দান


নষ্টালজি

তুমি তখন চরম একাকীত্বের আঁধারে,
গুমরে রবে, খেই হারাবে আফসোসে।

কোথাও কোন রাস্তা নেই,
তোমাকে তোমার রাস্তা বানিয়ে চলতে হবে।

যখন নি:সঙ্গ বহুরূপি তোমায় প্রশ্ন করবে?
আয়না লজ্জায় ভেঙে যাবে, মৃদু ঘামের ফোঁটা,
কপালে চেতনায় রটিয়ে যাবে,
কেন হারিয়ে ফেলেছো আমাকে

 






দুচোখ ভরা যৌবন নিয়ে, রেলগাড়ির ছাদে, শুেয়, বসে,
কখন গাছের ডালপালার ঝাপটানিতে মাথা বাচিয়ে।
উপরে টকবকে মাথার উপর সূর্য
নিচের চারপাশ ছুটন্ত জলা,ভূw,মেঠ পথ,
চলন্ত গাছের দৌড় আর রেলছাদের পাটাতনে
আমার শরীর দুলছে তুমি যখন আমার বুখ খামচে দোল









নষ্টালজি

তুমি তখন চরম একাকীত্বের আঁধারে,
গুমরে রবে, খেই হারাবে আফসোসে।

কোথাও কোন রাস্তা নেই,
তোমাকে তোমার রাস্তা বানিয়ে চলতে হবে।

যখন নি:সঙ্গ বহুরূপি তোমায় প্রশ্ন করবে?
আয়না লজ্জায় ভেঙে যাবে, মৃদু ঘামের ফোঁটা,
কপালে চেতনায় রটিয়ে যাবে,
কেন হারিয়ে ফেলেছো আমাকে







কোন মন্তব্য নেই