কলিযুগের বণীআদম
হে বণীআদম, কলিযুগের এ লীলায় গন্তব্য অনিশ্চীত জেনে-বুঝেও
সবাই ছুটছে বেলাগাম দস্যিপণায় কিসের মোহে!
ইট পাথরের জঙ্গলে খাঁচায় বিরাম নেয় যেটাকে ঘর বলো শহুরে মানুষ!
এক আজনা ম্যরাথনে যেন কখন একশত মিটার, কখনও রিলে রেস সমর্পিত করে,
মানুষ মনুষ্যত্ত নামক বস্তুটা অলস পঙ্গু বোধির বোবা করে রাখো
ঘড়ির কাটার মর্জি মাফিক প্রতিদিন এইখেলা খেলতেই থাকো।
নিজেরা নিজেদেরই ফাঁকি দিয়ে প্রতিদিন
নিজেরাই সেই ফাঁকিতেই পড়ো।
লজ্জা, গ্লানী, জয়-পরাজয় সব এখন আবেগহীন তবুও সুখির ভান
গন্তব্য নামক সোনার হরিণের পিছনে ছোটার তাড়াহুড়ো সে কি আয়োজন
আসল গন্তব্য কি কারও জানা নেই খোঁজারও তাগিদ নেই,
আদমের উত্তর প্রজন্ম এর পর প্রজন্ম একদিন এই খেলা শেষ হবে জেনেও
লোভ-লালসায়, প্রতারণায় প্রলুব্ধ হয়ে কাজ আর কাম এক কওে ফেলে!
না পায় কামের ললিপপ না পায় দুর্ণীতিহীন কাজের বিনিময় খাদ্য ।
নায্যতা অলীক ফিকে শুধু কাগুজে কলমে, বাঁচর নিয়ম একটাই
যে যত্ত পারো অন্যের সব কিছু নিয়ে নাও ন্যায়ে-অন্যায়ে
না হলে তোমার যেটা সেটা অন্যেরা ছিনিয়ে নেবে।
আইন-বিচার, নিরাপত্তা, সমাজ, ধর্ম, অধীকার
সব কিছু লোভের দাড়িপাল্লায় মাপে, সৃজন করে
ভদ্রতার রঙিন মুখোশ মুখোশের ভেতরেও মেকআপ করা মুখ,
হে বণীআদম তুমি আজ মর্তের ভাঁড়, ধর্মের ষাঁড় বৈ কিছু নও।
তোমরা কি তোমাদের পূর্ব-পুরুষদের থেকে শিক্ষা গ্রহন করনা
নাকি তোমরাও তাদের মতন এক পথেই এগিয়ে যাচ্ছো!
কি আছে তোমাদের কাছে যা অন্যদের কাছে ছিলনা আপেক্ষা করো
যেদিন দেহঘড়ি বন্ধ হবে খলি হাতে চালন হবে শশানে বা কবরে
পারবে কি ঠেকাতে সেই সময়টা কে ঠেকাতে বা সঙ্গে নিতে
লুটপাট করে যে সম্পদের পাহাড় বানিয়েছিলে
অসহায়দের গলায় পাড়া দিয়ে তাঁর সামন্য একটা কড়ি?
হে বণীআদম, পারলে কি নিতে অণূ পরিমাণও!
না পারলো পুরোটা ভোগ করে যেতে ?
এখন দেখ বারোভুতে খায় তোদের সবকিছুই ।
নিশ্চই সময় ও পরিণাম যার যার মত ভোগ করবে।
তোমরা তাকে যেভাবে উপভোগ ও কাটিয়ে ছিলে।
(সৈতৌউ)
২৮/১১/১৭
কোন মন্তব্য নেই
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন