বাংলা সাহিত্যের প্রতিষ্ঠানবিরোধী লিটিলম্যাগাজিন ব্লগ

সাম্প্রতিক পোষ্ট

শাস্ত্রকানা : সৈয়দ তৌফিক উল্লাহ


শাস্ত্রকানা :
সৈয়দ তৌফিক উল্লাহ

এক.
চিলের ঠোটে চকচক করে রোদে মাছটা
নখের আঁচড়ে ক্ষতময় কানকো ওচোখ
তবু শোনার নেই কেউ মাছটা হত্যার শোক!
আর হতবাক হয়ে মানুষেরে দেখে আঁশবটি হাতে মাছটা!

দুই.
মানুষ ও শরীর কি একই জিনীষ,
যেটা জলজ জৈব! শরীরের এত কি ক্লান্তি,
তবে কি মানুষ এর বাবহৃত রূপ
যার কমনা-বাসনার তৃপ্তিই শুধু মৌল?
শরীর তবে কি পশুর মতন!
এইখানে মানুষ আর পশু একই আচরণ করে,
দুটোরই লক্ষ্য জোর করে কাম চরিতার্থের।
পার্থক্য একজনের বুদ্ধি বিবেক আছে, অন্যজনের নেই!
অথচ তাদের মিল আবিকল এক এইখানে, কারন কি কেউ জানে?

তিন.
বাহুডোরে ছিড়ে যায় আটপৌরে শাড়ী
আলতা মাখানে পায়ে খোচা খায় সজোরে
মেয়েটির পাদিয়ে দু‘ফোটা রক্তও ঝরে।
তবু নির্বাক নয়নে ব্যাথাময় মুখে হাসি টেনে রেখে
প্রতিদিন ছুঁতেদেয় শরীর, ছুঁয়ে যায়
চেনা -আচেনা বাবুরা জনে জনে,
দুর্বা ঘাষের মত আমায় ডলে মলম বানাও
মেয়ে তোমার সব ক্ষত সারাবার কালে!

চার.
বেদনার সলতে পুঁড়ে বিস্ফোরিত হবে পাতকির মন
বিস্ফোরণের বরণ ডালাতে ফুলের পাপড়ি ছড়িয়ে
বাহুতে জড়িয়ে, শিরায় বাহিত রক্ত স্রোতে,
অনুতাপে ক্রোধের ঠোটে ঠোট রেখে, নতজানু হবে
বিস্ময়ে দেখবে ভোর লাজুক হয়ে আদি পাঁপ
বুকের উপর ল্যাপ্টে রবে বিনম্র নজরে।
আভিমান ভুলে বিরহের দজ্জাল দেয়াল ভেঙে
অপেক্ষার ক্ষণকাল শেষ হবে জাতিস্মরের ভাসানে
পাতকি আমায় কথাদেবে ফের যাবেনা ছেড়ে কোনখানে।

পাচ.
আমার সব লোহা গলে যাক
তুমি আমার প্রেমিকা
তুমি আমার আদর
তুমিই আমার চুড়ান্ত ভোগ।
ওহ! আমার হাত, দৃঢ় মুঠো,
কিশোর বয়ষের হাতের তালু,
তুমি জিন্দাবাদ।

ছয়.
তোমার সকল ইচ্ছে
তুমিই কেবল পূরন করতে পারো
ছুয়ে দেখতে পারো!
ইচ্ছে বাড়াওনা আরো।

সাত.
গতি দেখলে বেগ মাপা যায়?
তুমি থেম না।

আট.
যদি পারো মুঠোয়ভরে রেখো,
মুঠো খুলে দেখ না আমি আছি কি নেই।

নয়.
জীবন ছোট,
কিন্তু জীবনকালটা জব্বর হওয়া চাই।

দশ.
তুই রামপাল, আমি সুন্দরবন
আগুন গরম শিহরণ নিেয়
হারিয়ে গেলে কই,
তোকে খুজছি না, এই বুনো রোদে
আছিস কোথায়, তোকে পাচ্ছি না
এখন কোনখানে, কই`তুই ?

চলমান...
বিঃদ্রঃ- Unicode রুপান্তর করতে গিয়ে,কিছু বানান ভেঙে গেছে,
সে জন্য ক্ষমা করবেন।

কোন মন্তব্য নেই