বাংলা সাহিত্যের প্রতিষ্ঠানবিরোধী লিটিলম্যাগাজিন ব্লগ

সাম্প্রতিক পোষ্ট

আজব খেলায় মত্ত আমরা : সৈয়দ তৌফিক উল্লাহ


আজব খেলায় মত্ত আমরা : সৈয়দ তৌফিক উল্লাহ



আদমেরা অযুত-নিযুত ক্রোশ দুরত্বের যাত্রী
তরমুজের ফালির মত কাটা দগদগে লাল হয়ে
স্বভাবে অশরীরী শরীর খুজে নেয় রূহু
মিল-অমিলের অঙ্ক কষবে জলজ জীবনে।


অতঃপর শ্বাস নিচ্ছে অর্থাৎ বেঁচে আছে
স্বপ্নালু এক জোড়া চেখে নিটোল অথচ স্বপ্নবাজ
আদম জুয়াড়ি মন রঙিন ফানুসে চড়ে পরেছে আলোর মুখোশ।
ঈশাণ কোণে অজস্র আঁধারে জোনাকীর যাতায়ত
লোডশেডিং এর গহ্বরে তলিয়েছে আজ।

স্রষ্টার খেলা দেখবে বলে আদমের একাকীত্ব অনুভব দিলেন তিনি!
ষড় রীপুর বীজ দিয়ে চাষাবাদ করলেন আদমের মাটির শরীরে,
ফসলের মত সৃষ্টি হলো নর ও নারী সেই থেকে!
কাম, কান্না, বীর্য, শৌর্য, বোধ-বুদ্ধি, হতাশা, আশা-ভরসা,
পাঁপ-পূণ্য, লোভ-লালসা আর কতকি লতাপাতার মতন আবাদ হলো আদমের মাটির শরীরে।

চরিত্রায়ন হলো নর আদম আর নারী হাওয়া রূপে।
স্রষ্টার ইশারায় হাওয়া গন্ধবের টোপ দিল আদমেরে,
জন্ম হলো প্রথম পাঁপের, সেই আদি পাঁপের উৎস
পুরো জীবনব্যপী বয়ে বেড়াচ্ছে আদম-হাওয়ার সব প্রজন্ম তথা সমগ্র মানবকূল,
তারা যতই সব্যসাচী ভাব দেখাক, দুরত্ব বজায় রাখুক,
থকুক পুষে সকল ক্রোধ আছে যত, অশান্তির আগুনে পুঁড়ে হয় শোক,
ততই পাথরের মত নিরেট, আগুনে পুঁড়ে সোনার মত খাঁটি,
প্রতারণার ফাঁদের অসীম এক আবিস্কার হলো মানব জনম।

যতদিন থাকবে এই ভূ-বেলা, ততদিন চলবে
প্রতারণার এই খেলা জাগতিক সারাবেলা।

এক সময় জীবনের চরম-পরম অর্থবহ রূপান্তর মানব জীবনে ঘটে যায়
আর মানবেরা হয়ে যায় সময়ের ক্রীতদাস-দাসী!

স্রষ্টা খেলা জমানোর বাহানায় আদম-হাওয়া থেকে
তৈরি করেছে মানবকূল, গড়ছে পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র,
পথভ্রষ্ট আবেগ আচরণের পায়ে ভর দিয়ে হামাগুড়ি
দিতেদিতে দৌড়াবে ওরা। কখনও হতাশার বেদানায় চোখে বইবে সাগর,
কখনও উচ্ছাসের আনন্দ উল্লাসে স্বর্গসুখে মত্ত হয়ে পুনরায় ঘটাবে আদি পাঁপ।

এরা থামবে না, লজ্জা পাবে না বলবে সব আমাদের জন্য, সব আমাদেরই চাই, যাকিছু আছে!
যে লোভে পাঁপে আদম-হাওয়া জেনে শুনে স্বর্গচ্যুত হলো, সেখানে পৃথিবীর জীবনতো নস্যি!
সমগ্র সৃষ্টি তাই আতঙ্কে থাকে?
স্রষ্টা তাই মানব জাতীকে সমগ্র সৃষ্টি কে ধ্বংস করার
দিনক্ষণ ঠিক করে ভয়ে রাখে!

কোন মন্তব্য নেই