বাংলা সাহিত্যের প্রতিষ্ঠানবিরোধী লিটিলম্যাগাজিন ব্লগ

সাম্প্রতিক পোষ্ট

গুচ্ছ কবিতা :সৈয়দ তৌফিক উল্লাহ

 

যুদ্ধ যদি শান্তির পূর্ব শর্ত হয়

তবে যুদ্ধ শুরূ হোক।।


আমার কাছে মহান চে’এর চেয়ে হিটলার বড্ডো বেশি প্রিয়
আমার কাছে মহান মুজিব-জিয়ার চেয়ে কর্ণেল তাহের আমকে উৎসাহী করে
আমার কাছে দু-খন্ড বাঙলার চেয়ে একটা স্বদেশ প্রিয়
যেখানে দেশভাগের বেদনা নেই আছে উন্মাদনা,
বায়ান্ন মানে বোবা‘গিরির বিনাশ আর প্রথম কথা বলা জন্মদাগ
উনসত্তর নাবালক স্বদেশ সদ্য চিৎকার, প্রতিবাদ
একাত্তর মানে সাবালক স্বতন্ত্র স্বদেশ, নিজস্ব পরিচয়,‘বাওলাদেশী’
আমার কাছে স্বৈরাচারীর পতন এর চেয়ে
যুদ্ধ-অপরাধীদের ফাঁসির দাবি গুরুত¦পূর্ণ।
আমার কাছে আমি বলার চেয়ে আমাদের বলতে ভালোবাসি।
এত কারো কিছু যায় আসবেনা জানি, তাতে কার কি?
আমার কাছে বরং এসময়টা আনেকবেশী দামি,
শুধু আফসোস হয়; বায়ান্ন, উনসত্তর , একাত্তর, উননব্বই
একটা বুলেট আমার পাজরে লাগেনি।
হয়তো কোন বুলেটে আমার নাম লেখা আছে
তাইতো ফেলানী, বিশ্বজিৎ, টিপাইমূখি বাঁধ আমাকে চিৎকার
দিয়ে বলে, দুঃখ ঘোচানোর দিন এসেছে তোমার
আমাদের এ প্রজন্ম যে ভীষনদামি
এসো সবাই রাজপথে নামি! এ প্রজন্ম যে ভীষনদামি
স্বদেশের জন্য জীবন দেবার এখনই সময়!
আর কতো বরবরতা সহ্য করবে?
বিডিআর বিদ্রোহের নামে শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হত্যা
যুদ্ধ-অপরাধীদের বিচারের নামে প্রহসন, বিচাবর্হিভূত হত্যা
ধর্ম নিয়ে রাজনীতি, বর্ডারের লাশের পর লাশ
আর নয় কোন রাজনীতির ধোঁকাবাজি
এসো আজ যুদ্ধে নামি।
আর কত লাশ, কত রক্ত দিলে শান্তি আসবে!
এ প্রজন্ম যে ভীষনদামি, আমরা প্রস্তুত, বুকে পূর্ব-পুরুষদের সাহস
এসো আজ স্বাধীনতা রক্ষার যুদ্ধে নামি।

 

 

জবানবন্দি

আমার কবিতাগুলো জনৈক বৃদ্ধের দাতের মত নড়বড়ে
অক্ষরগুলো নোম্যানস ল্যান্ডে কাটাতারের বেড়া
আমার বিত্তের পতন সামাজিক ব্যবসার ধ্বস
ভেতরে গোঙানি যেন এক একটা প্যারা।

ছন্দের শেকলে আটকানো পঙতির মতন
মনের দরজাটা বন্ধ
মাত্রাগুনে সময় গড়িয়ে যায়।

কবিতাগুলো শিরোনাম হীন, মুন্ডকাটা শরীরের ভার
লাইন এর পর লাইন, রেশনের দোকানের সামনে মানুষের মত দাড়িয়ে আছি।
দাড়ি, কমা, যতিচিহ্ন সব বিস্ময়কর!

আমি আর আমার কবিতা দুটোই একই রকম
যার কোন ভবিষৎ নেই।
নেই কোন সম্ভাবনা।

হিরক রাজার দেশ


দেশ এখন মশার মত ব্যাপার
কোন দোষ দায় নেই রাজার।

রাজা বলল মন্ত্রী ঢেড়া পেটাও!

জানিয়ে দাও সমস্ত রাজ্যবাসি কে
মলােটে বন্দি কাগজে লেখা নিয়ম
আমিবাদে কেউ রাজ্যে পারবেনা করতে
আছে যতসব আনিয়ম।

আমার ইচ্ছেই রাজ্য চলবে
আমায় দ্বীগুন খাজনা দিয়ে
জনগণ চলবে।

রাজ্যের শাখাগুলো আমার শখের ঘুড়ি
রেখে লাটাই সুতোয় স্বইচ্ছায় তাই
আমি আমার ইচ্ছায় উড়ি।

বাজাতেই আঙুলে তুড়ি।

আমি হিরকের রাজা আমি ভগবান
জনগণ আমার খেলনা পুতুলের মত দান
রাজ্যপাটে গোল্লায় যাক ওরা
কথা বললেই নিয়ে নেব গর্দান।

বোবাকষ্ট

আমরা প্রতিরাতে ঘুমালেই পাহাড়ের আর্তনাদ
বালিশ ভিজিয়ে দেয়।
বুকের ভিতর সুন্দরমনের বদলে
সুন্দর বন হাহাকার করে,
তনু, মিতু, আফসানা, সাগর- রুনি
বিচারের অভাবে উচ্চস্বরে অট্টহাসি দেয়।

রাজনীতির জাতাকলে ভেঙে যায় পাঁজরের হাড়।
ভাঙা পাঁজর নিয়ে ফের ঘুমোতে যাই।

ঘুমের বদলে আতঙ্ক জাগে পরেরদিন প্রিয় স্বদেশে কী হবে?সেই ভাবনায় সকাল হয়ে যায়।

আর কতকাল চলবে এমন ভাবে!
এই ভাবনায় দিনও শেষ হয়ে যায়,
নেমে আসে অন্ধকার দুচোখময়।

সীমান্তে কিশোর হত্যা খবরে শুনি,
তিস্তা নদী কাঁদছে, কাঁদছে জাতিস্মর।
আমাদের কন্ঠে শুধু প্রতিবাদের ডর।

আকাশের ও আকাশ আছে

সময়ের আছে শুন্যতা


গুম হই স্বেচ্ছায়
স্মৃতিপট রেখায় ভুলগুলো সাঁতার কাটে,
চোখ রাঙায়, আফসোস হয়।
প্রশ্নকারী নিজে নিজেকে উসকে দিই,
স্বপ্ন নিয়ন্ত্রণ পিল খুজি। না পেয়ে
নিজেকে প্রশ্ন করি।

ছন্নছাড়া


আমরা নিয়ম ভাঙছি বারবার
নির্ভীঘ্নে ফিরছি প্রতিদিন ঘর:-
সংসারে।
সংসার মানে একগাদা গোছানো
মিথ্যের কথা। জোৎস্নায় মেঘেতে মায়াজাল নিয়ে।

মানুষের মসনদে মানুষ মাতছে
জীবণ নিয়ে মায়ায় খেলছে
দাস্যিপণায় দ্বন্দে জ্বলছে!
মানুষ-
সৌখিন প্রতিশ্রুতি
প্রাচীন পেশায় প্রবীণ প্রজাপতি।

কখনও বা মন খারাপের রাজ্যপতি
রুপালি পাতায় রূপকথায় মলাটে বন্দী
ছদ্দবেশী সময়েরা পায়তারা করে
সময়?
আলীক গোলক এক ধাঁধায়।
মানুষেরা অধিপতি।

ফেরারী ছিলাম না কখনই


ছবিঘর আর আলোচোর আয়না অদৃশ্য যূথ
বিপ্লবীরা চারপাশে সস্তা সুনাম আথবা শেকে বিহ্বর নিরবতা নিয়ে
আমাদের সীমানা স্বভাব সরীসৃপ হয়ে একবেকে আঁধারেও পথ চলে।
আমাকে আস্থিরতার দায় দিয়ে লাভ কি? তবে ক্ষতি নেই
যদিনা উৎসবে বাদ্য যদি বাজে, তবে দৃশান্তর ঘটবেই!
এটা ঠিক ভবিষৎ বর্ণনা বা পালিয়ে যাওয়া নয়!
তথাপি দাড়াবার সাহস হারিয়েছি বারবার, তবু ও দাড়াই
নিরব আলোর যোনী পথে , ওটা যে লাল চূণী, ঘটমান ভবিষৎ
আতীত সর্বদা আহংকারী করে তোলে, বায়ান্নোর, উনসত্তর, একাত্তর
আমি সার্টিফিকেটহীন মুক্তিযোদ্ধার আবাদের ফসল, সন্তান
সবসময় তাই প্রবণতা প্রকৃতির কাছ আপরিহার্য হয়ে ওঠার মতন।
আমার কাছে আসতে মানা নেই, তবুও বলছি এসোনা।
আসলে থমকে আমি ছিলামনা, আছিও না, ভবিষৎএ ও না।

আমারা হারিয়ে যাওয়া ছেলেবেলা


কমলা রঙের সুটকেস ধরা বাম হাতে
ডানহাতে বাবার হাতটা তখন ধরা
তখন আমি বাবার কাছে জানতেম
স্কুল কিন্তু? একবার পড়াশুরু করলেই
তুমি পড়ে ফেলতে পারবে তোমার ইচ্ছেমত
আজীবনের পড়ার মত আছে এমন খেয়ালখুশি যত।
হা' করে তাকিয়ে বাবার দিকে, হাত ছাড়তাম
তারপর ভো-দৌড় সোজা ক্লাসওয়ান।
আমি তখন পড়ি স্কুলঘরে,

আহারে বাবার ধরা ঔ হাতটা
এখন কেন ধরতেই পাইনা।
মায়ের হাতটাই আছে মাথার উপর
আর কি চাই, একজন সন্তানের।

তাই বারে বারে চাই পথ ফিরে,
কোথাও তবু তোমার হাতের সেই ছোঁয়া
আমার রাতের বেলাতে তোমার হাতে
মাথা রেখে ঘুমাতে যাওয়া, কিচ্ছু বাবা ফিরে পাইনা।
শৈশবে দীনার অকাল চলে যাওয়া,
মা আার বাকি তিনবোনের চারজোড়া
সর্বশ্রেষ্ঠ মায়ায় মোড়ানো চোখ, মমতায় সব সময়
আমায় চেয়ে থাকে, ঔ চোখে তাই অশ্রু আনবো
খুশির, আমি জান থাকতেও তোমাদের
ছেড়ে স্বপ্ন দেখার মত, পথ চলার মত
বড় আমি হইনি এখনও
তবু বাম পাঁজরে বেদনা,
ফিরে পাবার অযূথ- নিযূথ বাসনারা।

উৎসর্গ:
বোন দীনা কে,
আমার শৈশবে ও পানিতে ডুবে মারা গিয়েছে।
আমি তখন হাটত শিখছি মাত্র।

পুনশ্চ:
বাবা আমি কিন্তু একা না,
আমার জন্য মোটেও চীন্তা করোনা!




আমার বিলাসী জরিমানায়।

আমি চরম বিলাসী ছিলাম,
রাজার মত বলতাম, তুই কোথায়?

কেন আমি রিক্সায়!
তোর কাছে কাগজ কলম আছে,
না, ফোন কাটিস না,
খানিক বাদে বলতো বল এবার, আমি লিখছি।

আর আমি পাগলের মতে বলে
দিয়েছি, আমার সব অনুভবের
শ্রেষ্ঠ শব্দের গাঁথামালা, বর্ননায় কোন কিছু না লুকিয়ে।
...
এভাবে কত জ্বালিয়েছি, জন্ম হয়েছে কত কবিতার।
জান তার অধিকাংশ হারিয়েছি



ছন্নছাড়া


আমরা নিয়ম ভাঙছি বারবার
নির্ভীঘ্নে ফিরছি প্রতিদিন ঘর:-
সংসারে।
সংসার মানে একগাদা গোছানো
মিথ্যের কথা। জোৎস্নায় মেঘেতে মায়াজাল নিয়ে।

মানুষের মসনদে মানুষ মাতছে
জীবণ নিয়ে মায়ায় খেলছে
দাস্যিপণায় দ্বন্দে জ্বলছে!
মানুষ-
সৌখিন প্রতিশ্রুতি
প্রাচীন পেশায় প্রবীণ প্রজাপতি।

কখনও বা মন খারাপের রাজ্যপতি
রুপালি পাতায় রূপকথায় মলাটে বন্দী
ছদ্দবেশী সময়েরা পায়তারা করে
সময়?
আলীক গোলক এক ধাঁধায়।
মানুষেরা অধিপতি।








লাল চোখ


দৃষ্টির সীমানা ভেঙে পালিয়ে বেড়ায়
সূর্যমুখীর ক্ষেত হলুদ কামনা নিয়ে
সুমুদ্রতটে লবণের চাষাবাদে
চোখে ময়লা পড়েছে বলে জল ঝরে
ওটাকে অশ্রু বলো না।

ভেঙে ফেলনা আয়না যতই নিজেকে দেখে
মুঠোমুঠো বেঁচে ওঠা আনন্দগুলোই শুধু কাছে রেখে।

ওটা অশ্রু সমেত চোখে
চোখ জুড়ে স্বপ্নময়তা
এই বিলাষীতো স্বৈরাচারিত্ত
অনুভবের ডাগর ডাগর দৃশ্য।

পলকের পুলকিত ঘামে ভিজে যায় পীঠ
চুলের মুঠোয় ধরা আঙুল আদর করে না
কোন নখের আঁচড়ে ক্ষত।
স্মৃতিরভারে হোক না কাতর যত।

সময়-অসময়


পুঁড়ে যাচ্ছে জাতি,পুঁড়ছে আমার স্বদেশী
ক্ষয়ে যায় মেরূদন্ড রক্ত দিয়ে কেনা স্বধীনতা
শ্লোগান মুখর বাংলাভাষী মুখ সেলাই করা ঠোটে
সবকিছুতে রাজনীতি বানিয়ে পদযাত্রার খালিপা চাটে।

ওরা কুকুর-হায়নাও না, হায়নারতো ক্ষিধের স্বার্থ থাকে।

এরা কারা ? আর যাই হোক বাংলাদেশী হতে পারে না,
পিলখানা থেকে হলি আর্টিজোন হামলা, নিজেদের নিজেরা হত্যাকান্ড,
বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়, প্রায়শই বর্ডারে গুলিতে বাঙালী খুন,
বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়, নিজেদের সাথে নিজেদের ঠকানো,
বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়, ধর্মেরনামে মাানুষ করছে মানুষ থুন!

আমি আমাার পূর্ব-পুরুষদের বলতে শুনেছি
আমরা সেই মুক্তিযোদ্ধার ঔরসজাত,,
বীরঙ্গনা আমাদের মা।

আমরা কি আমাদের এই জাতির কথা
অতীতের এত্ত বিজয়গাঁথা।
আমরতো এমন না,
তবে কেন আমরা প্র্র্রায়শই পশুর তান্ডব করি?


1
শ্লোকবেলার ঘাঁস ফড়িংটা ওই
এথায় সেথায় কারে খুজিষ
কিরে কোথায় কেমন থাকিস তুই।

আমি এখন আমারই পুরোটায়
জুঁড়ে, তাইতো একলা আছিইবা কই!

তুমি তোমায় থাক তোমার মতন
ইচ্ছে যেমন তেমন সেই।

আমাদের কত কথা চাপা থাকে
কত কথা গোপেনে গুঁমরে কাঁদে
লুুটপাট হয়ে যায় স্বপ্ন গাঁথা
এলোমেলো সেই দু:খ গুলো
বাারবার পড়েছিলো ধ্বংস ফাঁদে।

কেউ থাকুক আর না থাকুক
যে যার মতন ভালো থাকুক।

শুনেছিলাম মানুষই ভগবান
এখন দেখি মানুষই এদেশের মাহাজন
শুনেছিলাম জঙ্গলে টারজানের গর্জন
আহারে সুদিনের সংসদ বর্জন।

অন্ধ তীরন্দাজ নিরীখ করেছে
কাপছে তার দু'হাত, প্রবীণ আঙুল
দিয়ে নিশনায় তাক করেছে,
পুুঁজি শুধু চোখের করোটি ভরা স্বপ্ন।

কোন মন্তব্য নেই