বাংলা সাহিত্যের প্রতিষ্ঠানবিরোধী লিটিলম্যাগাজিন ব্লগ

সাম্প্রতিক পোষ্ট

আমার নামটি এতটা মাতাল হয়ে গেছে!





একটি অলৌকিক ঘটনা ঘটছে
সৃষ্টির শুরু থেকেই,
এই মুহুর্ত পর্যন্ত বিশ্বাস ও ভালবাসা রক্ষায়
কারাজানি নীল শিরাগুলিকে ঠান্ডা করে দিয়েছিল,
আমি একটি স্ফটিক মাতৃগহ্বরের গভীরতায় নিজেকে খুঁজে পাই,
আতঃপর যৌবনের ভিতরে, একটি আলো যা স্থির থাকে রূহুর মত,
আমি যা বলতে চাইছি তা-তুমিই।

যে ভালোবাসা এখনও অন্যের জন্য প্রাণ দেয়নি!
যে সত্য এখনও আবিষ্কার হয়নি!
যে ভুলে যাওয়া তাকের পুরাতন বই, এখনও পড়া হয়নি!
যে মানবিকতার শিক্ষা পরিবার থেকে পেয়েছে মানুষ, অথচ তার প্রয়োগ করেনি!
হয়তোবা এজন্যই আমি বারবার জীবিত হয়ে উঠি।

তাই আমি যেদিকে তাকাই,
দেখি পথভ্রষ্ট দৃষ্টিভঙ্গির মিথ্যা বন্ধুত্বের রূপান্তর
পরিবর্তে আমি একটি উজ্জ্বল বসন্ত দ্বারা ধুয়ে ফেলি নিজেকে
কবিতা আবৃত্তি করতে থাকি, কাপুরুষদের কারও কারও চোখে জ্বলতে-জ্বলতে,

যখন আমি এই পৃথিবীতে প্রথম পা রেখেছিলাম,
আমার নিজের শরীর দিয়ে জরায়ুর ফুল হয়ে ফুটেছিলাম,
টের পেয়েছিলাম কি মায়ের নরক যন্ত্রণার সেই নগ্ন নাড়ীর টান?
আমি মাতৃত্বের যুগ দেখেছি,
আমি পিতৃত্বের যুগ দেখেছি,
অনুভব করেছি কেউ কেউ আমার
বুকের উপর কোমল হাতের চিহ্ন রেখে যেতে।

আমার দেহের সেইসব অনুভব সংগীতের সাথে অনুরণন করে চলে অদ্যবধি।
নিরর্থকতা যাঁরা গভীর অন্ধকার সমান গোলাপকে বুলেটে পরিণত করেছে,
বিপর্যয় ঘটাবে বলে ইতিহাসের লজ্জাজনক বেদনাদায়ক
উত্তরণের দরজা অবরুদ্ধ করি আর বারবার আটকে দিই সেই খিলান
জীবনের উপর আপোষ করার জন্য উন্মুখ, 
কাপুরুষদের বিভ্রান্তির সেই কৃত্রিম বৃত্তটি ভেঙে ফেলতে,
পুরানো দাঁতের মতো পড়ে গিয়ে আবার গজিয়ে উঠি।
হয়তোবা এজন্যই আমি বারবার জীবিত হয়ে উঠি।

এই বাড়ি, যার ভোর জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে 
আমাদের আলোকময় স্মৃতিপট,
প্রতি মুহূর্তে আমি আমাদেরকে আনন্দ উদযাপনের জন্য দেখবো বলে, যদিওবা আমি একটি বিস্ফোরণের তাজা শেল হাতে এবং পাঁজরের বুলেটগুলি দিয়ে আমার জীবনকে স্পন্দিত করছি, আমাদের বাসযোগ্য ধারিত্রীকে যে কাপুরুষের দল ঠেলে দেবে মৃত্যুর দিকে তা প্রতিহত করতে। যদিওবা আমি ক্ষুদ্র মানুষ, প্রবৃত্তিগুলি সংকুচিত হয়ে গেছে,
তারপরও এজন্যই আমি বারবার জীবিত হয়ে উঠি।

25/03/2020

কোন মন্তব্য নেই