বাংলা সাহিত্যের প্রতিষ্ঠানবিরোধী লিটিলম্যাগাজিন ব্লগ

সাম্প্রতিক পোষ্ট

আমাদের কিশোরেরা স্বপ্ন নিয়ে বেঁচে থাক।




এটা হত্যাকান্ড। এই কান্ডের কাণ্ডারিরা এখন বেজায় ব্যাস্ত সমবেদনা জানাতে। এই বাঁজারী মগেরমুল্লুকে তিনারাতো মাহাজন। কবি নবারূন ভট্টাচার্য এর ভাষায় বলতে ইচ্ছে করছে,

“এ দিকে কিশোর মারা গেলে, অন্যদিকে উনারা দাত কেলাচ্ছে, অনুষ্ঠান চালাচ্ছে, কবিতা পাঠ করছে,গান করে দাপাচ্ছে, আলোকিত মানুষ বানাচ্ছে, এ মানুষগুলো বাঁনচোদ না এমিবা।”!
অথবা
আমি একটি ইতরেরদেশে থাকি, এখানে চুতিয়ারা কিশোরদের মগজ খায়, এখানে বণিকেরা ফরমায়েশি কায়দায় লেখকদের উদ্ভাবন করে এবং লেখকরাও উদ্ভাবিত হয় মাহজনী সহবাসে বেলুন ফেটে।”

গত ১ নভেম্বর,২০১৯ ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত কিশোর আলোর বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠান দেখতে এসেছিল ওই স্কুলের ছাত্র আবরার। অনুষ্ঠান চলাকালে আয়োজকদের দায়ীত্বহীনতায় বিদুৎস্পৃষ্ট হয়ে সে মৃত্যুবরণ করে।

খতম (প্রথম) আলোর আলোকিত পদ্ধতিতে কিশোর আবরার খতম প্রক্রিয়া পুরোদেশ কিদারুন উপভোগ করলো। সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু উহ্ - আহ্ তারপর সব শেষ। কিশোর আলোর মাহজন দাঁতকেলিয়ে ফরমায়েশি বিরবিতি(বিবৃতি) দেখিয়া my chest bcome breast(বুক ফুলিয়া উঠিল)।

একটা বাচ্চাদের নিয়ে অনুষ্ঠান অথচ সার্বিক নিরাপত্তার কোন বালাই নেই। কিশোরটি মারা গেল অথচ তিনারা টের পেলেন না! অনুষ্ঠান চালিয়ে যেতে হবে না হলে স্পন্সর লগ্নিকারীরা অখুশি হবেন। তাতে ২/৪টা কিশোর খতম হলেও যায় আসে না। পুঁজেভরা পুঁজির আবাদ নষ্ট করা চলবে না।

খতম (প্রথম) আলোর তিনিরা সাংঘাতিক টাইপের সিরিয়াস সাংবাদিক, সংগঠক, আত্মপক্ষ সমর্থনে নিজেদের বাঁচাতে মাহাজনী কায়দায় সমবেদনার সুদ কষে এমনভান করছে, যেন কিচ্ছু ঘটেনি, দুঃখ প্রকাশের শ্রী এত দায়সারা হওয়ার কারন তিনিদেরতো স্পন্সর ছাড়া বুলি ফোটে না ভুলে গেছিলাম, খতম (প্রথম) আলো এ ধরনের একটা ঘটনা কীভাবে ঘটায়? তাদের কোনো দায়বদ্ধতা নেই? ছোট ছোট বাচ্চারা এখানে পড়াশোনা করছে। তাদের নিরাপত্তা না দেখা এটাও তো গর্হিত অপরাধ।
এটা তো বরদাশত করা যায় না।
ধিক্কার জানাই।
নিপাত যাক খতম (প্রথম) আলো।

০৭/১১/১৯

কোন মন্তব্য নেই