কবিতাজীবন ও কবি : সৈয়দ তৌফিক উল্লাহ
সাধারণ মানুষের জীবন ও জাগতিক যে অভিজ্ঞ
আছে। কবিদেরও সেটা আছে। সাধারণ মানুষের জীবন ও জাগতিক যে সকল অভিজ্ঞতা নেই সেটাও কবিদের আছে। কবিদের কাছে জীবনের সাধারণ জ্ঞানের সাথে সাথে আত্মার সকল উপাদানের অভিজ্ঞতা অর্জিত হয় অনুভূতির মাধ্যমে। তাঁর গতিময় সৃজনশীলতার প্রতিবন্ধকতা গুলোকে সরিয়ে দিয়ে সৃষ্টি করেন সুন্দর আর সংহতির সাবলীল ভারসাম্য। প্রদান করেন শাশ্বত অনুভূতির উপলব্ধি। তাঁর চিন্তাধারাকে, জীবনবোধকে, অস্তিত্বের সংরাগকে অভিনবত্বের উপস্থাপনায় তুলে ধরণ সত্যের সৌকার্য ও অনুভীত শৈলীর সুক্ষ্মতায়। দর্শনের দীপ্তীময়তা আর নান্দনিক অম্লান অর্ঘ্য দিয়ে নির্মাণ করেন বোধের মন্দির। স্রষ্টার আসনে বসে স্বকীয় অনুভবের জীবনবোধের দর্শনে কথা বলছেন অথচ বলছেন সকল মানুষের মনের কথা যা আত্মাকে সমৃদ্ধ করে পাশাপাশি সুউচ্চ আদর্শের পথে এগোবার নির্দেশনা দান করেন।
আছে। কবিদেরও সেটা আছে। সাধারণ মানুষের জীবন ও জাগতিক যে সকল অভিজ্ঞতা নেই সেটাও কবিদের আছে। কবিদের কাছে জীবনের সাধারণ জ্ঞানের সাথে সাথে আত্মার সকল উপাদানের অভিজ্ঞতা অর্জিত হয় অনুভূতির মাধ্যমে। তাঁর গতিময় সৃজনশীলতার প্রতিবন্ধকতা গুলোকে সরিয়ে দিয়ে সৃষ্টি করেন সুন্দর আর সংহতির সাবলীল ভারসাম্য। প্রদান করেন শাশ্বত অনুভূতির উপলব্ধি। তাঁর চিন্তাধারাকে, জীবনবোধকে, অস্তিত্বের সংরাগকে অভিনবত্বের উপস্থাপনায় তুলে ধরণ সত্যের সৌকার্য ও অনুভীত শৈলীর সুক্ষ্মতায়। দর্শনের দীপ্তীময়তা আর নান্দনিক অম্লান অর্ঘ্য দিয়ে নির্মাণ করেন বোধের মন্দির। স্রষ্টার আসনে বসে স্বকীয় অনুভবের জীবনবোধের দর্শনে কথা বলছেন অথচ বলছেন সকল মানুষের মনের কথা যা আত্মাকে সমৃদ্ধ করে পাশাপাশি সুউচ্চ আদর্শের পথে এগোবার নির্দেশনা দান করেন।
একমাত্র কবিই জীবনের অন্যতম শ্রেষ্ঠ দার্শনিক।
সে সকল কাল এবং অস্তিত্বের দ্রষ্টা তাঁর পক্ষে সাধারণ মানবিক-জাগতিক জীবনকে শুধুমাত্র উপলব্ধিত উপকরণ ছাড়া অন্য কোন গুরুত্ব বহন নাও করতে পারেন।
সে সমগ্র সত্যের প্রেমিক।
জ্ঞানের প্রতি প্রেম, জীবনের প্রতি জিজ্ঞাসু দৃষ্টি, যা তাকে শাশ্বত সত্যের আলোর নির্দেশনা দেবে। যে আলোতে কোন অন্ধকারের আশাংকা নেই। কবি কোনক্রমে অসত্যকে গ্রহণ করবেন না। সে অবশ্যই সংযমী ও উচ্চাকাঙ্ক্ষী হবে। আত্মার যে শক্তিতে অস্তিত্বের জীবনের, অনুভূতির। আচরণের, শ্বাশ্বত্য সত্যের যথার্থ সত্য অনুধাবন করা সম্ভব। যে শক্তি অনুভীত অস্তিত্বের নৈকট্যে এবং সাদৃশ্যে ভাস্বর, জীবনবোধের সম্মেলনে প্রজ্ঞা এবং যথার্থতার জন্মদান করে, সে শক্তি অনুভীত উপলব্ধির সম্যক সন্ধানী যতক্ষণ না পর্যন্ত সকল অস্তিত্বের মূলক উপলব্ধি করতে সক্ষম হয় ততক্ষণ সে শক্তি তথা কবির অন্বেষীত অনুভবের বিরাম নেই। তৃপ্ত হয় না সে শক্তি।
কবিরা উত্তম চরিত্রের মাধ্যমে আমাদের সুক্ষ্মগতির অন্বেষণ করেন। এ চরিত্রে মহৎ আত্মকরণ থাকবে। এই মহৎ আত্মকরণ নিয়ে সে সকল অস্তিত্বের সন্ধানে নিয়োজিত হবে।
কবিত্বের প্রধান লক্ষ্য শুধু কবিতা চর্চা নয়। অনুভূতির সম্পূর্ণতা অর্জনের চেষ্টা করা। প্রত্যেক সত্তার মধ্যে উত্তম এবং অধমের অস্তিত্ব রয়েছে। স্বভাবতই কবিদের পাশাপাশি অ-কবিদের অস্তিত্ব থাকবে। এটাই সার্বজনীন।
প্রকৃত কবি সেই যে জীবনের প্রতিটি মুহূর্তের অস্তিত্বের সত্তাকে উপলব্ধিত করতে সক্ষম। যার জীবনবোধের অনুভীত অভিজ্ঞতা নেই সে প্রকৃত কাব্যচর্চা করতে অক্ষম। এই অক্ষমতার অনুপাতে আর যাই হোক সে কবি হতে পারে না। এটা যতখানি উপলব্ধিত ততখানি অস্তিত্বগত ও স্বর্গীয় সহায়তা প্রাপ্ত। স্বর্গীয় সহায়তা একমাত্র ঈশ্বরের মনোনীত ব্যক্তিগণের উপর ন্যাস্ত হয়। মানুষের এই ক্ষুদ্র জীবনে এটাকে পুরোপুরি আত্মস্থ করা একমাত্র অলৌকিক সহযোগিতা ছাড়া প্রায় অ-সম্ভব। এমন কিছু ব্যক্তি এমন লক্ষকে সাধন করতে চায়, যে লক্ষ্য তাদের সাধ্যের উধের্্ব। ফলে সংখ্যাহীন অসঙ্গতীর কলঙ্ক লেপন করে। সার্বজনীন নিন্দার পাত্র করে তোলে পুরো কবি সমাজটাকে। এই অ-কবিদের ভিড়ে প্রকৃত কবিগণ নীরব এবং নি:সঙ্গ জীবন যাপন করে। কামনা করে অ-কবিত্বের সস্তা ফাঁদের স্রোতে ভেসে না যান। জাগতিক ঐন্দ্রজালের স্পর্শ শূন্য হয়ে জীবন উপভোগ ও ধারণ করেন, নিজস্ব নিয়মে।
আর তাই তাঁরা উপলব্ধি করতে পারেন অনুভূতির পূর্ণাঙ্গ পাঠে মুল সত্যের অন্বেষণে। তাঁরা মানুষের মত জীবনকে আচরণকে বিন্যস্ত করবেন না, জড়িত করতে চাইবেন না নিজেদেরকে এতে বিস্মিত হবার কিছু নেই।
প্রকৃত কবিগণ জাগতিক জড়তার শৃঙ্খল মুক্ত স্বশাসিত, কৌতূহলী, ক্ষেত্র বিশেষে উদ্বেগহীন এবং প্রশ্নবিদ্ধ এক নিজস্ব জগতের মধ্যে বসবাস করে। নিজের প্রয়োজনমত এর নির্মাণ ও পুননির্মাণ করেন। অচঞ্চল মূল্যবোধে আস্থার গভীর সুর তাদের কণ্ঠে উচ্চারিত হয়। তারা নিজেরাই নিজেদের ভাগ্যের নিয়ন্তা হয়ে ওঠেন অনন্ত কোন কোন ক্ষেত্রে।
সব কবিরই একই নিজস্ব যুগ রয়েছে।
রয়েছে নিজস্ব কিছু রীতি, কিছু উদ্ভাবনী আর কিছু নির্দেশনা। সমকাল হচ্ছে সর্বদাই দুর্বোধ্য যুগ। প্রকৃত কবিরা চিন্তাররাজ্য নিয়ন্ত্রণে চিৎকার করেন, ঘৃণা করেন, তাঁরা লালন করেন নিজস্ব একান্ত জীবন থেকে নেওয়া অনুভীত পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালান নতুন আবিষ্কারের, বিচারের, প্রগতির, পরবাস্তবতার, লৌকিকতার, আধ্যত্ম অনুসন্ধানের ধ্বংসের। সৃষ্টির সুর ধ্বনিত হয় তাদের কবিতায়। জীবন ও কবিতার সমন্বিত অনুভবের উপলব্ধিহীন কবিকে কতটুকু আসলে কবি বলা যায়। যেখানে তারা বিবর্তনের নিষ্ক্রিয়তার জন্য উন্মুখ, পরাজয়ে পরিতৃপ্তী, নিস্পৃহা, দার্শনিক আরাধনায় ঔদাসীন্য সহ প্রভৃত আচরণদ্বারা নিজেদের বাঁচাতে সর্বদা প্রচলিত নিয়মে আবদ্ধ হয়ে পড়ে। নিজেদের সন্তুষ্টির জন্য মনস্ততত্তের্ব বিমূর্তয়ান ঘটায়। আর এদের ভিড়ে প্রকৃত কবিগণ অদ্ভুত, রহস্যময় আর অপরিচিত হয়ে উঠছেন। এই রহস্যময়তা বা অস্বাভাবিকত্বের মূল যাই হোক না কেন এই হালের প্রদর্শনী প্রক্রিয়ায় এর স্থায়িত্ব সাময়িক কারণ প্রকৃত পাঠক কখন ও কখন দ্বীধাগ্রস্থ হয়ে পড়লেও কালের সন্ধিক্ষণে এসব ধোপে টিকবেনা। দ্বীধাগ্রস্থহীন এই সময়টা "ভয়ঙ্কর অস্বাভাবিকত্ব" রূপে জীবনবোধের অন্তর্দৃষ্টি কামনা করে। বর্তমান কালের প্রধান সুর বলে সাধারণত স্বীকৃত ও পরিচিত এই অস্বাভাবিকত্ব এবং অচেনার অনুভূতির সঙ্গে যে বিভ্রান্তি, নৈরাশ্য এবং টানাপোড়ন অবিচ্ছেদ্যভাবে জড়িত তার সাথে।
কবিতাজীবন ও কবি : সৈয়দ তৌফিক উল্লাহ
Reviewed by Sayed Taufiq Ullah
on
১১:১৯:০০ PM
Rating: 5

সমসাময়িক বাংলা সাহিত্যের প্রতিষ্ঠানবিরোধী লিটিলম্যাগাজিন সাহিত্যেচর্চার মতাদর্শ
"সমসাময়িক বাংলা সাহিত্যে প্রতিষ্ঠানবিরোধী লিটিলম্যাগাজিন সাহিত্যেচর্চার মতাদর্শ"
সৈয়দ তৌফিক উল্লাহ
লিটল ম্যাগাজিন আন্দোলনের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হ'ল প্রথাবিরোধী প্রচলিত চিন্তাভাবনা এবং ধারণার বিরুদ্ধে এর দৃঢ় অবস্থান।এই ধরণের প্রকাশের মূলমন্ত্রটি হ'ল পুঁজিবাদকে এড়িয়ে বাঙলা সাহিত্যে এক অভূতপূর্ব নতুন প্রবণতার সাহিত্য গড়ে তোলা।লিটল ম্যাগাজিন আন্দোলনের সাহিত্যিকরা প্রতিষ্ঠান ও বাঙলা সাহিত্যের নৈরাজ্য ফরমায়েশী সাহিত্যচর্চ্চার বিরুদ্ধে তাদের কণ্ঠস্বর উত্থাপন করেন। বাঙলা সাহিত্যে ছোটকাগজের সাহিত্যে আন্দোলনে সাময়িকী নিবেদিত সাময়িকী দিয়ে সাহিত্যের প্রতিষ্ঠা এবং ক্ষয়িষ্ণু সমাজের সবচেয়ে শক্তিশালী প্রতিষ্ঠানের নগ্নপুঁজিবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। লিটল ম্যাগাজিন আন্দোলন বাঙলা সাহিত্যে,যা সারা বিশ্বে বাঙালির জন্য তাদের পরীক্ষামূলক অ-বাণিজ্যিক সাহিত্যের প্রকাশের মাধ্যমে তাদের নিজস্ব দর্শন, স্বাধীনতা এবং নৈতিকতায় প্রচলিত মানদন্ডকে প্রত্যাখ্যান করে বাংলা সাহিত্যের ভাব ও ভাষা প্রয়োগে, লেখকদের শব্দ প্রয়োগে, ভাবনার বিমোচনে, প্রথাভাঙার প্রবণতায়,পরীক্ষা-নিরীক্ষা, নতুন উদ্ভাবন এবং চিন্তাভাবনায় এখন অত্যন্ত প্রভাবশালী ভূমিকা পালন করেছে। সাহিত্যের বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরে একেকটি সংখ্যা প্রকাশ, লেখার মান, দর্শন, নিরীক্ষা করে ছোটকাগজের পাঠক তৈরির কাজটি সুন্দরভাবে করে যাচ্ছে।
লিটল ম্যাগাজিন আন্দোলনের সাহিত্যে কৌশলগত লাইন হিসাবে বাঙালি ।জাতীয়তাবাদী অনুভূতি জাগ্রত করা এবং শব্দ ও ধারণার ব্যবহার, ধারণার ব্যবহার, পরস্পরবিরোধী কৌশলগুলির ব্যবহার সহ নেপোটিজমে র বিরোধিতা করছে বিদেশী ফ্যাসি বাদী সাম্রাজ্যবাদের বরপুত্র নগ্নপুঁজিবাদের বিরোধিতা নিয়ত করে যাচ্ছে ভাব ও ভাষা প্রয়োগে, লেখকদের শব্দ প্রয়োগে, ভাবনার বিমোচনে, প্রথাবিরোধীতার স্পর্ধায় বুঁর্জোয়াদের মদদপুষ্ঠ বাঙলা ভাষার বিকৃতি বাঙলা সাহিত্যে কে পণ্যায়ণ কর্মকান্ডের তীব্র প্রতিবাদ এর বিপ্লবী নাম প্রতিষ্ঠানবিরোধীতা তথা ছোটকাগজ মুভমেন্ট।
লিটিলম্যাগ মুভমেন্ট এর মতাদর্শ বিরোধী ঘুরেফিরে গুটিকয় নির্দীষ্ট লেখকের লেখা নিয়ে নতুন নতুন সংখ্যা প্রকাশে বিশ্বাসী নয়, লিটিলম্যাগ মুভমেন্ট প্রতিনিয়ত নতুন নতুন লেখক তার লেখা, চীন্তা-চেতনা বিকশে পরীক্ষা-নীরিক্ষার ও প্রকাশের সুযোগ করে দেয়ায় বিশ্বাসী যশোররোড, বাংলাভাষার প্রথাবিরোধী ওয়েবম্যগাজিন। আশিদশকের পর হতে এমন কোন লিটিলম্যাগ খুজে পাওয়া যাবে না, যে লিটিলম্যাগ রাষ্ট্র ও গণ-আন্দোলন নিয়ে কাজ করেছে। তাদের অধিকাংশই নিজেদের লেখা আর গ্রন্থ সংখ্যা বাড়াতেই তারা আগ্রহী। রাষ্ট্রচীন্তা, সামাজিক অসংগতি-আন্দোর,প্রতিবাদ, ইতিহাস বিষয়ে লেখক/ সম্পাদকেরা লেখার চেয়ে মিনমিনে সাহিত্য রচনায় আগ্রহী বিধায় লিটিলম্যাগ মুভমেন্ট থমকে আছে।
কারন সাহিত্য সৃষ্টির সময় যে দিকটায় বেশী নজরদারি করার দরকার, তা হোল-
১। সাহিত্যিকের সামাজিক দায়ীত্ব -সাহিত্যের শিক্ষা, সাহিত্যের অন্তর্নিহিত গভীর বক্তব্য, যা পাঠককে ভাবতে বা সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করে।
২। সাহিত্যের সমকালীনতা -সাহিত্যে সমকালীন সময়ের সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক পরিস্থিতির ঈঙ্গিত থাকা উচিত । যা পাঠকের মনন জগতে উত্তরণের অনুপ্রেরনা যুগাবে ।
৩। সাহিত্যের সর্বকালীনতা - সাহিত্য এমন ভাবে তৈরী হওয়া উচিত , যাতে যে সময়েই তা পাঠকের সামনে আসুক না কেন, পাঠক তার নিজের চারধারের উদ্ভুত পরিস্থিতির সঙ্গে মিলিয়ে নিতে পারে ।
৪। সাহিত্যের সার্বজনীনতা- সাহিত্যের এই ধর্মটা আবশ্যিক। কারন সাহিত্যের এই ধর্মটা না থাকলে সাহিত্য একপেশে হয়ে পড়তে বাধ্য। সমাজের সর্বস্তরের মানুষের কথা, তাদের পাওয়া না পাওয়া, তাদের সুখ দু:খ, আনন্দ বিষাদ তথা ব্যথা বেদনা, প্রতি নিয়ত তাদের সামাজিক- অর্থনৈতির অবস্থান ও তার প্রভাবে তাদের মানসিক জগতের কাঙ্খিত পরিবর্তনই, সাহিত্যিক তার সাহিত্যের মধ্যে প্রকাশ করে ; আর সেই প্রকাশের আলোয় পথ দেখতে দেখতে সমাজের সর্বস্তরের মানুষ আলোকিত হয় , বিপথগামীরা সংযত হবার চেষ্ঠা করে, বিপদগ্রস্থরা নির্দেশিত পথে এগিয়ে যাবার জন্যে সংঘবদ্ধ হবার সাহস পায় ।সমাজ জন্জাল মুক্ত হয় ।
সাহিত্য সাহিত্যের মত চলবে, মানুষকে নিজের মানোন্নয়ন ঘটিয়ে সাহিত্যের স্বাদ গ্রহন করতে হবে । সাহিত্যিক কেন তার সাহিত্যের মানের অবনতি ঘটাতে যাবে ? তাদের চিন্তাধারায় তারা হয়তো ঠিক, কিন্তু তাদের এই মতামত এটাই প্রমান করে যে, তারা সার্বজনীন নয় । তারা সাহিত্য রচনা করেন সংখ্যালঘু এক বিশিষ্ট সম্প্রদায়ের জন্যে, তারা সাহিত্য রচনা করেন হাততালি কুড়ানোর জন্যে, সাধারনের জন্যে নয় । এহেন বিপথগামীতার জন্যেই আজ বিদ্দ্বজন সাহিত্য ও ব্রাত্যজন সাহিত্য বোধের তথা সাহিত্যের বিভাজন । অর্থাৎ কিনা পণ্ডিতের জন্যে পণ্ডিতের তৈরী পণ্ডিতের সাহিত্য, আর সমাজের তলানিতে তলিয়ে যাওয়া সাধারনের সৃষ্ট সাধারনের জন্যে সাধারনের সাহিত্য । সাহিত্যের বুকেও তাই চলছে সাম্প্রদায়িক লড়াই ।
মোদ্দাকথা, দেশে দেশে জনশিক্ষার সঠিক বিকাশ না হওয়ার ফলেই, মানুষ সমাজটা সাহিত্যের জগতেও বিভাজিত হয়ে পড়েছে । সাহিত্য সমাজের বেশীরভাগ মানুষের বোধদম্য হচ্ছে না ,আবার কারোকাছে গ্রহনযোগ্য হচ্ছে না। সাহিত্যের সুদূর প্রসারী ফল সাধারনের মধ্যে বন্টিত হতে পারছেনা ।মধ্যপন্থী বাহাদুর বিদ্দ্বজনরা নিজেদের বাজার দর বাড়ানোর সুযোগ পাচ্ছেন, প্রশাসনের মতো তেনারাও নিজেদের বিক্রী দর তৈরী করতে পেরেছেন ও পারবেন বলে ভাবছেন। দায়িত্বজ্ঞানহীন এহেন সাহিত্যিকরাই আসলে সমাজ জীবনের বোঝা, এদের সৃষ্টি মানুষের জন্যে নয় তাদের নিজের জন্যে । সার্বজনীনতা গুন না থাকায় তাদের সৃষ্টি সামাজিক দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ । সাহিত্যিককে এদিকেও নজর দিতে হবে
or reload the browser
Post Comment
কোন মন্তব্য নেই
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন