বাংলা সাহিত্যের প্রতিষ্ঠানবিরোধী লিটিলম্যাগাজিন ব্লগ

সাম্প্রতিক পোষ্ট

এত্তো ক্ষিধে লাগে ক্যান !- সৈয়দ তৌফিক উল্লাহ












 এত্তো ক্ষিধে লাগে ক্যান! 


বড্ডো ভাতের ক্ষিধে লাগে
ভাপ ওঠা গরম ভাতের থালার পাশ দিয়ে পোষা বিড়ালটা আর হাটে না, ও’বুঝে গেছে আমারই ভাত জোটেনা, তাই সেও কোথায় হারিয়ে গেছে।

বলুনতো কতো পানি খেয়ে ক্ষুধার নিবারন হয়!

ভাগ্যিস রোজা এসে গেছে দিনের বেলায় দূর হতে
সাহেবদের দেখি ক্ষিধেয় কাতর কিনা?
ভেবেছিলাম মসজিদে ইফতার জুটবে!

সেটাও জুটলোনা, যাকাত-ফেতরার টাকাও সাহেবরা
দিচ্ছে না, ওদের যে অনেক ক্ষিধে, তারপর রোজদার ওরা, যাকাত-ফেতরার টাকা দিয়ে জম্পেশ গিলছে। ওরা আমাগের চেয়ে গরীব মনে হয়!

সব সাহেব খারাপ না কেউ কেউ চাল,ডাল, দশ- বিশ টাকা ধরিয়ে দেয় আবার ফটোও তোলে।

আমি অত সব বুঝিনে আমার বাচ্চাডারে আর কত ভাতের ফ্যান খাওয়াবো? ভাগ্যিস এখনও ভাত খেতে পারেনা, নইলে আমাগের ভাতে টান পড়তো।

বউডা পরের বাসায় কাজ করতো, ওরে তারা খেদায় দিছে, বলেছে মহাামারী কেটে গেলে আইসো, কিন্তু ততদিন বেতন কাটা যাবে। আমার বউডা ঐ বাড়িতে কাজে গেলে নাকি ওদেরও করোনা রোগ হবে। আমরা যে বস্তিবাসী, দীনমুজুর।

আমার টোঙের চায়ের দোকানটা কি নির্মম ভাবে ভেঙে দিল। আরে তোরা আমার দোকান নয় পাঁজরের হাড়গুলো ভাঙলি।

সামাজিক দুরত্ব, লকডাউনে সাহেবরা ছুটি কাটাচ্ছে
আর আমাদের লকডাউন দু-মুঠো ভাতের সাথে,
সামাজিক দুরত্ব অভুক্ত পেটের সাথে ক্ষিধের।
আল্লারে কই গরীবের এত ক্ষীধে ক্যান লাগে?

করোনায় আমাগের মারতি পারবে না,
গরীবেরা মরবে ক্ষিধেয়।

কেউ কি পারেন আমাগের পেটডারে
লকডাউন করে দিতি, যাতে আর ক্ষিধে না লাগে…

কোন মন্তব্য নেই