ভবিষ্যতের জন্য একটি কবিতা : সৈয়দ তৌফিক উল্লাহ
![]() |
ভবিষ্যতের জন্য একটি কবিতা : সৈয়দ তৌফিক উল্লাহ |
বুনো ফুলের ছায়ায় অবারিত বাতাসে
অন্ধকার জলের ঘোর কাঁটার আগে,
কারুকৃত আলোর আত্মপ্রকাশকারীরা
নগ্ন পদতলে বিঁধতে জোৎস্নার স্প্লিন্টার।
নগ্ন পদতলে বিঁধতে জোৎস্নার স্প্লিন্টার।
চারদিকে মরীচিকার-ব্যারিকেড
জলের জপমালা বিস্তৃত করে
জলের জপমালা বিস্তৃত করে
চোখ বন্ধ করি প্রতিসৃত প্রবল বৃষ্টিতে
ভালবাসা হতে হবে শারীরবৃত্তীয় প্রয়োজনীয়তায়
অক্ষত থাকার সময় নাভি থেকে উপরের শূন্য চিহ্ন প্রতিফলিত হয়ে।
শয্যাশায়ী পর্বতমালার আগে,
সব কিছুই দেখা যায় কিন্তু দেখা যায় না
চোখের ফাঁক গলে বেরিয়ে আসা জলজধারা।
আমি যা স্পর্শ করছি তা তুমি নও;-
আমার উপত্যকা সম্পূর্ণ নগ্ন কাঁটা আর অন্ধকার জলের
আমার উপত্যকা সম্পূর্ণ নগ্ন কাঁটা আর অন্ধকার জলের
বিচ্ছিন্নতার বিষাদে চকচকে রটনারা
বরাবর রটে যায় একের পর এক।
যেতে যেতে আমাদের হাড়গুলো,
মাথার খুলিগুলো,
বার বার চূর্ণ করে পিচ্ছিল শরীরে আঙ্গুলের ছাপরেখে
পাখিরা গোপন রহস্য আমাকে জানিয়ে দেয়।
বার বার চূর্ণ করে পিচ্ছিল শরীরে আঙ্গুলের ছাপরেখে
পাখিরা গোপন রহস্য আমাকে জানিয়ে দেয়।
মৃত্যু চিন্তায় নিরর্থক স্থানান্তর যাত্রার প্রতিটি পর্যায়ে
গণকবর দিয়ে প্রসারিত হয় ভূমির রক্ত এর ভিতরে ভাসমান
সঙ্কুচিত বরফ খণ্ডভরা একগ্লাস নীরবতা
সঙ্কুচিত বরফ খণ্ডভরা একগ্লাস নীরবতা
মেঘাচ্ছন্ন বিশৃঙ্খলা নিয়ে শব্দগুলিতে মোড়ানো
আনন্দময় বিভ্রান্তির প্রয়োজনীয়
অন্ধকারে বিঁধে
অন্ধকার কাটিয়ে উঠতে চেষ্টা করছি,
এই ঝলমলে অন্ধকারে কিছুই দেখার নেই,
এই ঝলমলে অন্ধকারে কিছুই দেখার নেই,
হয়ত এজন্যই একে অপরকে লঙ্ঘন করে
সবাই রাস্তায় আমার পাশ দিয়ে চলে যায়।
কোন মন্তব্য নেই
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন